দেশের ক্রিকেটের ইতিহাসে ১০০তম টেস্ট ম্যাচ খেলার অপেক্ষায় মুশফিকুর রহিম। জাতীয় দলের এই তারকা ক্রিকেটারের ভূঁয়সী প্রশংসা করেছেন সাবেক অধিনায়ক খালেদ মাসুদ পাইলট।
বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) পরিচালক খালেদ মাসুদ পাইলট বলেন, আমার মনে হয় মুশফিককে ১০০ টেস্ট খেলতে দেখে এখন যাদের ৫০-৬০টা টেস্ট খেলা হয়েছে, তাদের অনেকেই চাইবেন ১০০ বা তার বেশি টেস্ট খেলতে। নাজমুল হোসেন শান্ত, তাওহিদ হৃদয়, তানজিদ হাসান তামিম ও পারভেজ ইমনরা হয়তো সে পথেই হাঁটবে।
পাইলট বলেন, ১০০ টেস্ট খেলতে হলে হলে অনেক কাঠখড় পোড়াতে হবে। অনেক পরিশ্রম, অধ্যাবসায় করতে হবে এবং অনেক কিছু ত্যাগও করতে হবে। মোটকথা, তাদেরও মুশফিকের মত সুশৃঙ্খল জীবনযাপন করতে হবে। একটা রুটিন মেনে খাবার দাবার, চলা ফেরা, সব কিছুতেই একটা সিস্টেম মেনে চলতে হবে। মুশফিক হতে পারে আদর্শ। তাকে ফলো করলেই তা সম্ভব হবে।
সাবেক এই তারকা ক্রিকেটার বলেন, মুশফিক প্রথম বাংলাদেশি ক্রিকেটার হিসেবে ১০০ টেস্ট খেলতে যাচ্ছে। সে বাংলাদেশের ক্রিকেটে আইকন। যে নিজের জীবনকে উৎস্বর্গ করেছে ক্রিকেটের জন্য। আমি চাই মুশফিক তার ১০০ নম্বর টেস্টকে স্মরনীয় করে রাখুক। যাতে তার শততম টেস্টটা একটা দারুন সুন্দর ও দীর্ঘ ইনিংস দিয়ে সাজানো থাকে।
বিসিবি পরিচালক বলেন, আর একটা বিষয় চাইবো মুশফিকের কাছ থেকে। তাহলো, সে যেন ক্রিকেটের সাথে জড়িয়ে থাকে। এমন নিবেদিতপ্রাণ ক্রিকেট অন্তঃপ্রাণ আর মেধাবি ক্রিকেট ব্যক্তিত্ব কোন না না পরিচয়ে ক্রিকেটের সাথে জড়িয়ে থাকলে দেশের ক্রিকেটেরই মঙ্গল।
পাইলট আরও বলেন, আমাদের দেশের ক্রিকেটে হাই কোয়ালিটি ক্রিকেটার ও খুব ভাল ট্যালেন্ট কম। মুশফিক হচ্ছে সেই মানের ও মাপের বড় এবং মেধাবি ক্রিকেটার। তার মত মেধাবি, পরিশ্রমি, অধ্যাবসায়ী, অনুশীলনে শতভাগ মনোযোগী, মনোসংযোগী আর শতভাগ আত্মনিবেদনকারি ক্রিকেট ব্যক্তিত্ব খুব কম।
তিনি বলেন, এমন নিবেদিতপ্রান ক্রিকেট ব্যক্তিত্ব দেশের ক্রিকেট বোর্ড বা ক্রিকেট ব্যবস্থাপনার সাথে যুক্ত থাকলে দেশের ক্রিকেটেরই উপকার হবে। তাই আমি চাই মুশফিক যখন, যেদিনই মাঠের ক্রিকেটকে বিদায় জানাবে, তারপর যেন ক্রিকেটের সাথেই আষ্টেপৃষ্টে জড়িয়ে থাকে। তাতে দেশের ক্রিকেট উপকৃত হবে।