শনিবার, ২২ নভেম্বর ২০২৫, ০৭:৫৬ পূর্বাহ্ন

ব্যাটিংয়ের পর বল হাতেও বাংলাদেশের দাপট

স্পোর্টস ডেস্ক
  • প্রকাশের সময়ঃ শুক্রবার, ২১ নভেম্বর, ২০২৫
  • ৩ প্রদর্শন করেছেন

মিরপুর টেস্টের প্রথম দিনটা আইরিশদের বিপক্ষে দাপটের সঙ্গেই শেষ করেছিল বাংলাদেশ। মুশফিকুর রহিমের সেঞ্চুরির সঙ্গে আজ (বৃহস্পতিবার) দ্বিতীয় দিনের শুরুটাও হয়েছে বেশ, তিন অঙ্ক ছুঁয়েছেন লিটন দাসও। টাইগারদের ৪৭৬ রানের বড় লক্ষ্য টপকাতে নেমেই হোঁচট খেল সফরকারীরা। দিনশেষে পাঁচ উইকেট হারিয়ে ৯৮ রানের পুঁজি পেয়েছে আয়ারল্যান্ড।

শুরুটা ভালোই হয়েছিল আয়ারল্যান্ডের। দুই ওপেনার অ্যান্ডি বার্লবির্নি ও পল স্টার্লিং শুরুতে কিছুটা ধরে খেললেও ইনিংস বড় করতে পারেননি। ২৬ বলে ২৭ রান করে স্টার্লিং এলবিডব্লিউ হয়ে ফিরলে ভাঙে ৪১ রানের ওপেনিং জুটি। তাকে ফেরান খালেদ আহমেদ।

অন্য ওপেনার বার্লবির্নি ৬০ বলে করেন মাত্র ২১ রান। তিন নম্বরে নামা ক্যাড কারমাইকেলও সুবিধা করতে পারেননি; তার সংগ্রহ ১৭। এরপর হ্যারি টেক্টর ও কার্টিস ক্যাম্পারকেও দ্রুত বিদায় করেন তাইজুল–মুরাদ জুটি। ফলে ৯৪ রানে পাঁচ উইকেট হারিয়ে ফলো-অনের আশঙ্কায় পড়ে যায় আয়ারল্যান্ড।

এর আগে দিনের শুরুতেই বুধবার ৯৯ রানে অপরাজিত থাকা মুশফিকুর রহিম নিজের সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন। টেস্টের শততম ম্যাচে সেঞ্চুরি করে তিনি বিশ্বের মাত্র ১১তম ব্যাটার হিসেবে অনন্য এই কীর্তি গড়েন। মুশফিক ১০৬ রান করে আউট হওয়ার পর লিটন দাসও তুলে নেন নিজের সেঞ্চুরি; তার ইনিংস থামে ১২৮ রানে। মুমিনুল হক করেন ৬৩ এবং মেহেদী হাসান মিরাজ যোগ করেন ৪৭ রান।

বাংলাদেশ টেস্ট ইতিহাসে মাত্র তৃতীয় দল হিসেবে একই ইনিংসে ৪র্থ, ৫ম ও ৬ষ্ঠ উইকেটে ১০০ রানের জুটি গড়ার রেকর্ড গড়ে। এর আগে এমন কীর্তি ছিল শুধু ভারত (১৯৭৯, ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে) এবং পাকিস্তানের (২০২৩, শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে)। আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে বাংলাদেশ পায়—চতুর্থ উইকেটে মুশফিক–মুমিনুলের ১০৭, পঞ্চম উইকেটে মুশফিক–লিটনের ১০৮ ও ষষ্ঠ উইকেটে লিটন–মিরাজের ১২৩ রানের জুটি।

মুশফিক ও লিটন মিলে বাংলাদেশের হয়ে টেস্টে সর্বোচ্চ সপ্তমবার শতরানের জুটি গড়লেন। প্রথম দিনের ভিত্তির ওপর আজ দলীয় স্কোরে আরও ১৮ রান যোগ হওয়ার পর মুশফিককে স্লিপে ক্যাচ আউট করেন ম্যাথু হাম্প্রিস। ২১৪ বলে ৫ চার মেরে তিনি করেন ১০৬। বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ সেঞ্চুরির তালিকায় মুমিনুলের সঙ্গে যৌথভাবে এখন ১৩টিতে আছেন তিনি।

লিটন–মিরাজ এরপর আরেকটি ভালো জুটি গড়েন। গত আগস্টের পর আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে প্রথম সেঞ্চুরি আসে লিটনের ব্যাটে। হোয়ের বোলিংয়ে মিরাজ (৪৭) আউট হলে ওই জুটি ভাঙে। কিছুক্ষণ পর লিটনও আক্রমণাত্মক খেলার চেষ্টায় হাম্প্রিসের বলে স্লিপে ক্যাচ দেন। ১৯২ বলে তার ১২৮ রানের ইনিংস সাজানো ছিল ৮ চার ও ৪ ছক্কায়।

শেষ দিকে এবাদত হোসেন ছোট কিন্তু কার্যকর ইনিংস খেলেন—৩ চার ও ১ ছক্কায় অপরাজিত ১৮। শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশ ইনিংস থামে ৪৭৬ রানে।

আইরিশ বোলারদের মধ্যে সবচেয়ে সফল ছিলেন অভিজ্ঞ স্পিনার অ্যান্ডি ম্যাকব্রাইন; তিনি শিকার করেছেন ৬ উইকেট। ম্যাথু হাম্প্রিস ও গ্যাভিন হোয়ে নেন ২টি করে উইকেট।

শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ধরনের আরও সংবাদ