নিজস্ব প্রতিবেদক: র্যাব প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে সমাজের বিভিন্ন অপরাধ এর উৎস উদঘাটন, অপরাধীদের গ্রেফতারসহ আইনশৃঙ্খলার সামগ্রিক উন্নয়নে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। বিভিন্ন অপরাধীদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনার জন্য র্যাব ফোর্সেস নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করে থাকে। র্যাব-১১ এর দায়িত্বপূর্ণ এলাকায় চাঁদাবাজি, ডাকাতি ও সন্ত্রাসী কর্মকান্ড দমনের লক্ষ্যে র্যাব অত্যন্ত পেশাদারিত্বের সাথে জড়িত ব্যক্তিদের গ্রেফতার ও আইনের আওতায় আনার জন্য র্যাব ফোর্সেস নিয়মিত সন্ত্রাস বিরোধী অভিযান পরিচালনা করে আসছে।
এরই ধারাবাহিকতায় গোপন তথ্যের ভিত্তিতে র্যাব-১১ এর একটি আভিযানিক দল গত ২৪ জুন নারায়ণগঞ্জ জেলার সিদ্ধিরগঞ্জ থানা এলাকায় একটি বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে বিভিন্ন পরিবহণ থেকে চাঁদা আদায়কালে চাঁদাবাজ চক্রের মূলহোতা সহ ০৬ জন চাঁদাবাজকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
গ্রেপ্তারকৃত আসামিরা হচ্ছে ১। মোঃ হৃদয় (২২), পিতা-মোঃ মোবারক হোসেন, সাং-সিদ্ধিরগঞ্জ, থানা-সিদ্ধিরগঞ্জ, ২। মোঃ সাজ্জাদ (১৯), পিতা-মোঃ মহসীন আলম, দিলপাড়া ব্যাংক কলোনী, পোঃ কুতুবপুর, থানা-ফতুল্লা, ৩। মোঃ আল আমিন (২২), পিতা-মৃত আঃ রহিম, স্থায়ী গ্রাম-খেজুরবাগ, থানা-দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ, জেলা-ঢাকা, এ/পি-পেয়ারা বাগান ব্যাংক কলোনী, পোঃ কুতুবপুর, থানা-ফতুল্লা ৪। মোঃ ইমরান (২২), পিতা-মৃত রফিক, স্থায়ী গ্রাম-ভূঁইয়াকান্দি, থানা-ছেংগারচর, জেলা-চাঁদপুর, এ/পি-মুক্তিনগর, থানা-সিদ্ধিরগঞ্জ,৫। মোঃ কামাল হোসেন (৫০), পিতা-মৃত মোতালেব হোসেন, গ্রাম-রিবারদি পশ্চিমপাড়া, থানা-সোনারগাঁও, ও ৬। মোঃ সাদ্দাম (২০), পিতা-মোঃ সাহাজ উদ্দিন, স্থায়ী গ্রাম-আব্দুল্লাপুর, পোঃ-আব্দুল্লাপুর, থানা-অষ্টগ্রাম, জেলা-কিশোরগঞ্জ, এ/পি-আদর্শনগর, থানা-সিদ্ধিরগঞ্জ, জেলা-নারায়ণগঞ্জ। গ্রেফতারকৃত আসামিদের হেফাজতে থাকা চাঁদাবাজির টাকা উদ্ধার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদ ও প্রাথমিক অনুসন্ধানে জানা যায় যে, তারা দুষ্কৃতিকারী ও চাঁদাবাজ এবং ঘটনাস্থলে বিভিন্ন পরিবহণ (বাস, ট্রাক, মিশুক) হতে চাঁদা আদায় করছিল। গ্রেফতারকৃত আসামীরা পরষ্পর যোগসাজশে বিভিন্ন রাস্তা ঘাটে পরিকল্পিতভাবে দলবদ্ধ হয়ে বিভিন্ন পরিবহণে চাঁদাবাজি করার উদ্দেশ্যে ভয়ভীতি বা ত্রাস সৃষ্টি করে। তারা দীর্ঘদিন ধরে জেলার সিদ্ধিরগঞ্জ থানা এলাকাসহ এর আশপাশ এলাকায় দলবদ্ধ হয়ে বিভিন্ন ধরণের পরিবহণ থেকে চাঁদাবাজি করে আসছে। এরই প্রেক্ষিতে র্যাব ১১, সিপিএসসি কোম্পানী এর গোয়েন্দা টীম যথাযথ গুরুত্বের সঙ্গে ছায়া তদন্ত শুরু করে এবং সুনির্দিষ্ট তথ্য এর ভিত্তিতে বর্ণিত চাঁদাবাজ চক্রের সদস্যদের চাঁদাবাজির টাকা সহ হাতেনাতে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।
গ্রেফতারকৃত আসামীদের বিরুদ্ধে পরবর্তী আইনানুগ কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে।