টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট থেকে অবসরের ঘোষণা দিয়েছেন সাকিব আল হাসান। ভারতের বিপক্ষে কানপুর টেস্টের আগে সংবাদ সম্মেলনে এই ঘোষণা দিয়েছেন বিশ্বসেরা এই অলরাউন্ডার। অক্টোবরে ঘরের মাঠে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে টেস্ট সিরিজ খেলে সাদা পোশাকের ক্রিকেটকে বিদায় জানাবেন সাকিব।
অবসরের ঘোষণার পরেই ছিল সাংবাদিকদের প্রশ্নোত্তর। সেখানেই উঠে আসে শেয়ারবাজার কারসাজি তার বিরুদ্ধে করা হত্যা মামলা প্রসঙ্গ। এ সময় সাকিব বলেন, ‘একটা কেইস (হত্যা মামলা) হয়েছে, সবারই রাইটস (অধিকার) আছে। কিন্তু আপনারা সবাই জানেন এটা কেমন ধরণের কেইস ছিল। আমি ওই সময় কোথায় ছিলাম। আমার কাজ কী ছিল কিংবা আমি কী করছিলাম। সো এই বিষয়টা নিয়ে খুব বেশি কিছু বলতে চাই না।’
শেয়ারবাজার কারসাজি নিয়ে তিনি আরও বলেন, ‘আমার লাইফে আমি নিজে থেকে কোনো ট্রেড করিনি। কেউ যদি এটা বলে আমি ট্রেডিংয়ে কথা বলেছি, আমাকে প্রমাণ দিলে আমি খুশি হবো। এই সবগুলোয় এখন যেকেউ যার যার মতো করতেই পারে। তবে বিষয়গুলো যদি একটু সুন্দরভাবে করতো, আমার জন্য হয়ত ভালো হতো। আমার জন্য মেন্টালি সহজ হতো।’
নিজের ওপর আনা অভিযোগগুলোকে মিথ্যা উল্লেখ করে সাকিব বলেন, ‘মিথ্যে অভিযোগগুলো আমার মনে হয় না খুব একটা ভালো দিক বহন করে আমাদের দেশের জন্য বা বাইরের জন্য। কারণ বাইরের মানুষগুলো যখন কথা বলবে তখন আমার মনে হয় না জিনিসগুলো অ্যাপ্রোপিয়েট হবে। আমার লাইফে যখন আমি কোনো ট্রেডই করিনি নিজ থেকে, তাই স্বাভাবিকভাবেই আমার ভুল করা বা যেসব শব্দ ব্যবহার করা হয়েছে সেসবও কতটা যথার্থ, তা (চিন্তা করা) আমার জন্য দুঃখজনক।’
উল্লেখ্য, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন চলাকালে কানাডার গ্লোবাল টি-টোয়েন্টি লিগে খেলছিলেন সাকিব। তবে আদাবরে গার্মেন্টসকর্মী হত্যা মামলার আসামি করা হয় তাকে। এছাড়া সম্প্রতি শেয়ার লেনদেনে কারসাজির অভিযোগে সাকিবকে ৫০ লাখ টাকা জরিমানা করে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।