সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৬:০২ অপরাহ্ন

সাকিবের নিরাপত্তা নিয়ে কী বললেন ক্রীড়া উপদেষ্টা

প্রতিবেদকের নামঃ
  • প্রকাশের সময়ঃ রবিবার, ২৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৪
  • ৬৩ প্রদর্শন করেছেন
কানপুর টেস্টের আগে সংবাদ সম্মেলনে সাকিব আল হাসান, এখানেই তিনি দিয়েছিলেন অবসরের ঘোষণা

ঘরের মাঠে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে আসন্ন সিরিজে ক্যারিয়ারের শেষ টেস্ট খেলতে চেয়েছেন সাকিব আল হাসান। তার আগে নিশ্চয়তা চেয়েছেন, বাংলাদেশে সিরিজ খেলে যুক্তরাষ্ট্রে ফিরতে পারবেন পরিবারের কাছে। সেই সঙ্গে আছে আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য হিসেবে বাংলাদেশে তাঁর নিরাপত্তার প্রশ্নও।

তবে আপাতদৃষ্টিতে মনে হচ্ছে, কানপুরের বৃষ্টিবিঘ্নিত টেস্টই হয়ে থাকবে সাকিবের শেষ টেস্ট। ঘরের মাঠে শেষ টেস্ট খেলার ইচ্ছা তাঁর পূরণ না হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি। কারণ আজ শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া বলেছেন, ‘খেলোয়াড় সাকিবের যথাযথ নিরাপত্তা নিশ্চিত করাই আছে। তবে, ফ্যাসিস্ট সরকারের সংসদ সদস্য সাকিব আল হাসানের বিপক্ষে জনমনে তৈরি হওয়া ক্রোধের বিপরীতে নিরাপত্তা দেওয়ার নিশ্চয়তা চাওয়া অবান্তর।’

এর আগে বিসিবির সভাপতি ফারুক আহমেদও সাংবাদিকদের বলেছিলেন, সাকিবের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা বিসিবির পক্ষে সম্ভব নয়, এটি বিসিবির কাজও নয়। নিরাপত্তার বিষয়টি পুরোপুরি সরকারের হাতে।

এদিক আজ মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বিসিবি পরিচালক ও সাকিবের দীর্ঘ দিনের কোচ নাজমূল আবেদীনও ঘরের মাঠে সাকিবের শেষ টেস্ট খেলার সম্ভাবনা কম বলে মন্তব্য করেছেন। তিনি বলেন, ‘আমিও চাইব ওর মতো একজন খেলোয়াড় দেশে খেলা শেষ করবে, সংস্কৃতির ব্যাপারও আছে এখানে। তবে দুর্ভাগ্যজনকভাবে অনিবার্য কারণবশত এই মুহূর্তে সেই সম্ভাবনা দেখছি না। কারণ ক্রিকেট বোর্ড বলেছে, যে ধরনের নিরাপত্তা সাকিব চাচ্ছে, ক্রিকেট বোর্ডের পক্ষে সেটা সম্ভব নয়।’

তিনি অবশ্য বলেছেন, সরকার ভিন্নভাবে ভাবতেও পারে। সে জন্য সরকারের সিদ্ধান্তের জন্য অপেক্ষা করতে হবে। তবে সে সিদ্ধান্ত যে কোনো দিকেই যেতে পারে। তিনি বলেন, ‘সরকার যদি মনে করে ওকে নিরাপত্তা দেওয়া সম্ভব নয়, সেটাও যুক্তিসংগত। আবার সরকার যদি বলে, তার মতো একজন খেলোয়াড়কে আমরা সম্মান জানাতে চাই, সেভাবেই তার বিদায়টা হোক; সেটাও যুক্তিসংগত।’

এর আগে সিরিজটি হওয়ার কথা ছিল গত জুলাইয়ে। সে সময় আফগানিস্তানের বিপক্ষে পূর্ণাঙ্গ সিরিজই খেলার কথা ছিল বাংলাদেশের। ৩টি ওয়ানডের সঙ্গে ছিল ৩ টি–টোয়েন্টি ও ২টি টেস্টও। তবে দুই বোর্ডের সম্মতিতে স্থগিত করা হয় ওয়ানডে সিরিজটি। তখন জানানো হয়েছিল, সিরিজটি পরে কোনো এক সময় আয়োজন করা হবে।

শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ধরনের আরও সংবাদ