বরগুনার বেতাগী উপজেলায় বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে এক তরুণীকে একাধিকবার ধর্ষণ করার অভিযোগ এনে মামলা করেছেন তার মা।
বুধবার বরগুনার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক সিনিয়র জেলা জজ মো. মশিউর রহমান খান মামলাটি গ্রহণ করে বরগুনার ডিবিপ্রধানকে সাত কার্য দিবসের মধ্যে অনুসন্ধান প্রতিবেদন দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।
মামলার আসামি হলেন বরগুনা সদর উপজেলার বদরখালী ইউনিয়নের তেতুলবাড়িয়া গ্রামের আবদুল হাই সিকদারের ছেলে মেহেদী হাসান (২৬)।
এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন বরগুনার পাবলিক প্রসিকিউটর রনজুয়ারা সিপু।
জানা যায়, বাদীর বাড়ি বরগুনা জেলার বেতাগী উপজেলার সরিষামুড়ি গ্রামে। ওই গ্রামে আসামির বড় বোন ফিরোজা বেগম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষকতা করেন। সেই সুবাদে আসামি বোনের বাড়ি এসে বাদীর ১৪ বছরের মেয়েকে বিভিন্ন সময় কুপ্রস্তাব দেয়। বাদীর মেয়ে রাজি না হলে বিয়ে করার প্রলোভন দেখিয়ে বাদীর অনুপস্থিতিতে তার মেয়েকে একাধিকবার ধর্ষণ করে মেহেদী।
বাদী বলেন, আমার স্বামী ঢাকায় শ্রমিকের কাজ করেন। আমি মানুষের কাজ করতে সকালে বের হই। আমার নাবালিকা মেয়ে ঘরে একা থাকে। আসামি মেহেদী আমার খালি ঘর পেয়ে মেয়েকে বিয়ে করার প্রলোভন দেখিয়ে প্রথমে ২৪ আগস্ট জোর করে ধর্ষণ করে। আবার ৩০ আগস্ট দুপুরে খালি ঘর পেয়ে আমার মেয়েকে ধর্ষণ করলে আমি দেখতে পাই। আমি মেহেদীর বোন ফিরোজা মাস্টারের কাছে অভিযোগ দিয়ে আমার মেয়েকে বিয়ে করতে বলি। আমরা গরিব বিধায় আমার মেয়েকে মেহেদী বিয়ে করবে না। মেহেদীর বোন তার ভাইকে সহযোগিতা করে যাচ্ছেন।
আসামির ফোন বন্ধ পাওয়ায় তার সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি।