৯১ বছর বয়সি এক বৃদ্ধাকে মারধর এবং যৌন নির্যাতন। সেই ঘটনায় ১৪ বছরের এক কিশোরকে দোষী সাব্যস্ত করেছেন আমেরিকার আদালত। আগামী ১৯ ডিসেম্বর এই মামলায় সাজা ঘোষণা করা হবে।
অভিযোগ, গভীর রাতে ঘরের দরজা ভেঙে ভিতরে ঢুকে বৃদ্ধার উপর যৌন নির্যাতন চালায় কিশোর। প্রথমের দিকে কিশোর সেই অভিযোগ অস্বীকার করেছিল। পরে নিজের দোষ স্বীকার করে। এই ঘটনাটি ঘটেছিল জুন মাসে ফ্লোরিডায় মেরিয়ন কাউন্টি এলাকায়।
জানা গেছে, বৃদ্ধা রাতে ঘুমোচ্ছিলেন। সেই সময় ঘরের দরজা ভেঙে ভিতরে প্রবেশ করেছিল ওই কিশোর। এরপর আওয়াজ শুনে ঘুম ভেঙে যায় বৃদ্ধার। তিনি তখন কিশোরকে দেখতে পান। এরপর ওই কিশোর বৃদ্ধকে মারধর করে ও যৌন নির্যাতন করে বলে অভিযোগ। পরে বৃদ্ধা মারধর ও যৌন নিপীড়নের অভিযোগ জানান। তার ভিত্তিতে ওই কিশোরকে আটক করে পুলিশ। প্রথমে কিশোর এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার বিষয়টি অস্বীকার করেছিল।
তবে একটি ভিডিও ফুটেজ দেখে তাকে শনাক্ত করে পুলিশ। তাতে দেখা যায়, রাতে ওই বাড়ির কাছাকাছি একই রকম পোশাক পরে হাঁটছিল একজন। রিপোর্ট অনুসারে, ঘটনার রাতের ওই ভিডিও এক প্রতিবেশী রেকর্ড করেছিলেন। এছড়াও ডিএনএ প্রমাণ মিলেছে।
পরে ওই কিশোর বাড়িতে ঢুকে বৃদ্ধাকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করার এবং যৌন নির্যাতনের করার কথা স্বীকার করেছে। সে জানায় যে তিনি বসার ঘরের দরজা দিয়ে প্রবেশ করেছিল। এরপর বৃদ্ধার আইপ্যাডে পর্নোগ্রাফি দেখেছিল। গোয়েন্দা ক্যাটলিন হার্টিগানের কিশোরকে জেরা করতেই সে অবশেষে নিজের অপরাধের কথা স্বীকার করে।
নির্যাতিতা বৃদ্ধা তদন্তকারীদের বলেছেন, যে তিনি কিশোরকে চিনতেন। এর আগেও তাকে বহুবার দেখেছেন। তাকে দেখে তিনি ভালো ছেলে বলেই মনে করতেন।
তার গ্রেফতারের পর শেরিফ বিলি উডস এই মামলার বিষয়ে বলেন, ‘এই ধরনের ঘটনায় আমি খুবই মর্মাহত। এটা শুনে আমি ধাক্কা পেয়েছিলাম যে কোনও ব্যক্তি ৯১ বছর বয়সি বৃদ্ধার সঙ্গে এমন একটি কাজ করেছে। তবে আমরা যখন গ্রেফতারের পর দেখি অভিযুক্ত একজন কিশোর তখন সত্যিই এটি বিরক্তিকর ছিল।’
তিনি বলেন, যৌন নিপীড়ন, মারধর এবং চুরির অভিযোগে তাকে অভিযুক্ত করা হয়েছে। কিশোরকে বিচার বিভাগে স্থানান্তরিত হয় পরে। ১৯ ডিসেম্বর তার সাজা হওয়ার কথা রয়েছে। স্বাভাবিকভাবেই এমন ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায়। তীব্র নিন্দায় সরব হয়েছেন স্থানীয়রা।