আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম বলেছেন, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হওয়ার পরও তিন মাস তিনি দেশের মধ্যেই ছিলেন। এরপরও তিনি কীভাবে বিদেশে চলে গেলেন সেটি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কাছে জানতে চেয়েছেন আদালত। মঙ্গলবার তিনি এসব কথা বলেন।
অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম বলেন, বিগত ১৬ বছর ধরে গোপন কারাগারে গুম, নির্যাতন, খুনের সঙ্গে নিউক্লিয়াস ‘শেখ হাসিনা’ জড়িত। এসব কার্যক্রমে তার সম্পৃক্ততা সরাসরি পাওয়া গেছে।
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর বলেন, ভারতের সঙ্গে যেসব চুক্তি করা হয়েছে সেসবের বিষয়ে কী পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে সেটি জানাতে দুই সপ্তাহ সময় দিয়েছেন আদালত।
তিনি বলেন, তদন্ত শেষ হতে একটি যুক্তিসঙ্গত সময় লাগবে। আমরা চেষ্টা করছি, দ্রুত সময়ের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করার। যদি কেউ আদালতের নির্দেশনা থাকার পরও কাউকে পালাতে সাহায্য করেন তাহলে আইন অনুযায়ী তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার সুযোগ রয়েছে।