বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, বাংলাদেশে মুসলমান, হিন্দু, বৌদ্ধ ও খ্রিস্টান সবাই মিলেমিশে বসবাস করবে। তারা সংখ্যালঘু (মাইনরিটি) হবে কেন? জাতিকে বিভক্ত করা আরেকটি গৃহচক্র। এ দেশের মানুষ বন্ধুসুলভ হয়ে পরস্পর প্রতিবেশী হয়ে থাকবে। আর পরস্পরকে লাগিয়ে দেওয়ার জন্য এটি একটি শয়তানি চক্র।
মঙ্গলবার দুপুরে গাইবান্ধা ইসলামিয়া উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে কর্মী সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
স্বৈরাচারী আওয়ামী লীগ সরকার বিডিআর ও সেনাবাহিনীকে মুখোমুখি দাঁড় করিয়েছে। তারা বিডিআর হত্যাকাণ্ডের পর তার নাম বদলে দিয়েছে। শুধু তাই নয় স্বৈরাচারী সরকার জামায়াত ইসলামীকে আঘাত হেনেছে। জামাতায়ের নিবন্ধন বাতিল করা হয়েছে, সর্বশেষ স্বৈরাচার সরকার শেষ হওয়ার চার দিন আগে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে।
বক্তব্যে ডা. শফিকুর রহমান বলেন, এ দেশে যারা জন্মগ্রহণ করবে তারা সবাই গর্বিত মানুষ। এই রাষ্ট্রে যদি আল্লাহ আমাদের দায়িত্ব দেন, তখন চাঁদাবাজ ও দখলদারদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানো হবে। সেই সঙ্গে দুর্নীতিমুক্ত, প্রহসনমুক্ত বাংলাদেশ গড়া হবে।
গাইবান্ধা জেলা জামায়াতের আমির আব্দুল করিমের সভাপতিত্বে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন- বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা আব্দুল হালিম, কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য অধ্যক্ষ মাওলানা মমতাজ উদ্দিন, অধ্যাপক মাহাবুবুর রহমান বেলাল, সাবেক জেলা আমির ডা. আব্দুল রহীম সরকার, জেলা জামায়াতের সিনিয়র নায়েবে আমির আব্দুল ওয়ারেছ সরকার, সেক্রেটারি জহুরুল হক সরকারসহ অনেকে।