অধিকৃত পশ্চিম তীরে ইসরায়েলি বাহিনীর চালানো সামরিক অভিযানে অন্তত আটজন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে দুই নারী এবং একজন তরুণ রয়েছে। হামলাগুলো তুলকারেম ও নুর শামস শরণার্থী শিবিরে চালানো হয়। খবর আলজাজিরার।
বুধবার (২৫ ডিসেম্বর) ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এই তথ্য নিশ্চিত করেছে।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্যমতে, তুলকারেম শরণার্থী শিবিরে ইসরায়েলি ড্রোন হামলা এবং সৈন্যদের গুলিতে সাতজন নিহত হন। অন্যদিকে, নুর শামস শরণার্থী শিবিরে এক ব্যক্তিকে গুলি করে হত্যা করা হয়। মঙ্গলবার ভোরে শুরু হওয়া এই হামলার একদিন পর এসব হতাহতের ঘটনা প্রকাশ্যে আসে।
নিহতদের মধ্যে দুই নারী হলেন খাওলা আলি আবদুল্লাহ আবদো (৫৩) এবং বারা খালিদ হুসাইন (৩০)। তরুণ ফাতি সাইদ সালেম ওবায়েদ (১৮) তুলকারেমে ইসরায়েলি গুলিতে নিহত হন। সরকারি বার্তা সংস্থা ওয়াফা জানিয়েছে, ওই তরুণ বুকে ও পেটে গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান।
নুর শামস শরণার্থী শিবিরে নিহত ব্যক্তি মাহমুদ মুহাম্মদ খালেদ আমার। তাকে গুলি করে হত্যা করা হয় এবং তার মরদেহ শিবিরের আবু বকর আস-সিদ্দিক মসজিদের কাছে পাওয়া যায়। একটি ড্রোন হামলায় আরও কয়েকজন আহত হন। শিবিরে স্থাপনাগুলোও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে।
ইসরায়েলি সেনাবাহিনী এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, তারা তুলকারেমে সন্ত্রাসবিরোধী অভিযানে একজন ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে। অভিযানে আরও ১৮ জনকে গ্রেপ্তার করা হয় এবং বেশ কয়েকটি অস্ত্র জব্দ করা হয়। সেনাবাহিনী পরে নুর শামস শরণার্থী শিবিরে বিমান হামলার বিষয়টিও নিশ্চিত করে।
এই হামলাগুলো পশ্চিম তীরের উত্তেজনা আরও বাড়িয়েছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই ধরনের সামরিক অভিযান এবং সহিংসতা ফিলিস্তিনিদের মধ্যে আরও ক্ষোভ সৃষ্টি করবে এবং দ্বন্দ্বের মাত্রা বাড়াতে পারে।