বিশ্বের ইতিহাসে সবচেয়ে নৃশংস ও মর্মান্তিক ঘটনার একটি বাংলাদেশের পিলখানা ট্রাজেডি বা বিডিআর বিদ্রোহ। ২০০৯ সালে ওই ঘটনা ঘটনার সময় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ছিলেন সাহারা খাতুন। আর স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী ছিলেন সোহেল তাজ।
গত ১৫ আগস্ট বিকালে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে একটি পোস্ট দেন সোহেল তাজ। তিনি লিখেছিলেন, ‘সত্য বলার সময় এসেছে’ লিখে সেখানে তিনি নিজেকে পিলখানা ট্রাজেডিতে নির্দোষ দাবি করেন। এরই সঙ্গে পিলখানা হত্যাকাণ্ডে নিহতদের ছবি পোস্ট করেন।
তিনি আরও বলেছিলেন, আমি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাহারা খাতুনকে ফোন করলাম। ওনি তখন আমাকে বললেন বাবা এটা তো আপা (শেখ হাসিনা) দেখছেন। প্রধানমন্ত্রী (শেখ হাসিনা) আমাকে বললেন- তুমি আমেরিকায় বসে বসে বেশি বুইঝো না। আমি দেখতেছি। তখন আমার আর কিছু করার ছিল না।
‘বিডিআর বিদ্রোহ’ নিয়ে আমার দেশ পত্রিকা একটি অনুসন্ধানী প্রতিবেদন করছে। বিডিআর বিদ্রোহ সংঘটিত হয়েছিল ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থা ‘র’-এর তত্ত্বাবধানে। হত্যাকাণ্ডের জন্য ভারতের প্রশিক্ষিত একটি কিলার গ্রুপকে ঢাকায় আনা হয়।
পত্রিকাটির প্রতিবেদক সৈয়দ আবদাল আহমদ তার প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছেন, ফার্মগেটে অবস্থিত সাহারা খাতুনের হোটেল ইম্পেরিয়ালে এনে তোলা হয় ভারতীয় প্রশিক্ষিত একটি সন্ত্রাসী খুনি চক্রকে। ওই হোটেলে ‘র’-এর লোকজনও অবস্থান নেয়। ঘটনার দিন সকালে বিডিআর দরবার হলের সামনে একটি পিকআপ আসে খেলোয়াড়দের নিয়ে। বিডিআর-এর পিকআপে খেলোয়াড় বেশে ছিল কিলার বাহিনীর অনেক সদস্য। নম্বরবিহীন অ্যাম্বুলেন্সে করেও আরেকটি গ্রুপকে পিলখানায় ঢোকানো হয়।
এরা আগে থেকে ভাড়া করা বিপথগামী বিডিআরদের সঙ্গে মিলে হত্যাকাণ্ড চালায়। বিডিআর মহাপরিচালক মেজর জেনারেল শাকিলের মৃত্যু এরা নিশ্চিত করে। দরবার হলের দক্ষিণ গেটে বিপথগামীদের সঙ্গে কিলার গ্রুপটি ছিল এবং এরা সকাল ১০টা সাড়ে ১০টার মধ্যেই ডিজি, ডিডিজিসহ ১৫ থেকে ১৮ জনকে হত্যা করে। ২৫ ফেব্রুয়ারি রাতে পিলখানার বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে আরেক দফা হত্যাকাণ্ড চালানো হয়। বাইরের কিলার গ্রুপটি রাতে চারটি নম্বরবিহীন অ্যাম্বুলেন্সে করে পিলখানা ত্যাগ করে। ধারণা করা হয় বিমানের দুবাই ফ্লাইটে এদের তুলে দেওয়া হয়েছে।