কক্সবাজার টেকনাফে বাহার ছড়ায় একটি বিরল প্রজাতির আনুমানিক ২০-২২ ফুট লম্বা অজগর সাপ উদ্ধার করেছে বন বিভাগের কর্মীরা। যাহার ওজন ১০০ কেজি (আড়াই মণ)। পরে রাতেই জাহাজপুরা গজন বাগানে সাপটি অবমুক্ত করা হয়েছে।
রবিবার (২ ফেব্রুয়ারি) রাত ৯টার দিকে বাহারছড়া ইউনিয়নের উত্তর শিলখালী বাসিন্দা আব্দুস শুক্কুরে বাড়ির আঙ্গিনায় একটি বিরল প্রজাতির বার্মিজ অজগর সাপ উদ্ধার করা হয়েছে।
শিলখালী রেঞ্জ কর্মকর্তা আবুল কালাম আজাদ বলেন, বিরল প্রজাতির বার্মিজ অজগর সাপটি উদ্ধার করার পর রাত ১০টার বন বিভাগের কর্মকর্তার কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
বনবিভাগ সূত্র জানায়, বাহারছড়া ইউনিয়নের উত্তর শিলখালী বাসিন্দা আব্দুস শুক্কুরে বাড়ির আঙ্গিনায় একটি বিরল প্রজাতির অজগর সাপ দেখতে পেয়ে স্থানীয় লোকজন দ্রুত বনবিভাগে খবর দিলে শামলাপুর ভি সি জি সভাপতি ও পুরানপাড়া ভিসিএফ সভাপতি আমির মুহাম্মদ শাহজাহানের নেতৃত্ব সাপ উদ্ধারকারী দলের সদস্য আমিনুল হক, মো. জাফর, শামলাপুর এফসিসি ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক সোহেল উদ্দিন ও শিলখালী রেঞ্জ কর্মকর্তা আবুল কালাম আজাদসহ আরও অনেকে ঘটনাস্থলে ছুটে যান।
পরে বনবিভাগ ও সংশ্লিষ্ট লোকজনের সহযোগিতায় তারা সাপটিকে নিয়ন্ত্রণে এনে একটি বস্তার ভেতর ঢুকিয়ে রাতেই বনবিভাগ ও সিপিজি দলের লোকজন মিলে সাপটি ওই পাহাড়ের জাহাজপুরা গজন বাগানে অবমুক্ত করা হয়।
উদ্ধারকারী দলের প্রধান ও শামলাপুর ভিসিএফ সভাপতি আমির মুহাম্মদ শাহজাহান বলেন, অজগর সাপটি খবরটি পেলে দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে সেটি উদ্ধার করা হয়। পরে পাহাড়ে জাহাজপুরা গজন বাগানে সাপটি অবমুক্ত করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ২০১৯ সাল থেকে গতকাল রাত পর্যন্ত নিজের হাতে প্রায় দুই হাজারের বেশি সাপ বিভিন্ন জায়গা থেকে উদ্ধার করে পুনরায় বনের অবমুক্ত করা হয়েছে বলে জানান। তবে গত বছর সবচেয়ে বেশি ভয়ংকর চারটি কিং কোবরা সাপ লোকালয় থেকে উদ্ধার করে বনে অবমুক্ত করা হয়। পাশাপাশি আরও বিভিন্ন ধরনের বন্যপ্রাণী ও অবমুক্ত করেছেন।
শিলখালী রেঞ্জ কর্মকর্তা আবুল কালাম আজাদ জানান, অজগর সাপটি ২০থেকে ২২ ফুট লম্বা। ওজন ১০০ কেজি। এলাকায় এর আগে এত বড় অজগর সাপ বিচরণ করতে দেখা যায়নি। হঠাৎ করে সাপটি লোকালয়ে প্রবেশ করায় পরে নিয়ন্ত্রণে এনে অবমুক্ত করা হয়। এটির সাধারণ নাম ‘বার্মিজ পাইথন’ ও বৈজ্ঞানিক নাম পাইথন বাইভিটেটোস।