‘ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাস তার যুদ্ধ কৌশল পরিবর্তন করেছে এবং অবিরামভাবে অনুশীলন করছে। যার ফলে সশস্ত্র গোষ্ঠীটি প্রতিদিন আরও বিপজ্জনক হয়ে উঠছে। ’
ইসরাইলের নেটিভোটের বাসিন্দা রাফায়েল হায়ন এই কথাগুলো বলেছেন। তিনি এর আগে ২০২৩ সালে হামাস ও ইসলামিক জিহাদের মধ্যে যোগাযোগের বিষয়ে আইডিএফকে সতর্ক করেছিলেন।
২০২৩ সালে, হায়ন তার বাড়ির ভেতরে স্থাপিত একটি গোয়েন্দা সেলের মাধ্যমে হামাস এবং ইসলামিক জিহাদের যোগাযোগ সম্পর্কে জানতে পারার পর গাজা উপত্যকায় সামরিক কার্যকলাপ সম্পর্কে ইসরাইলি নিরাপত্তা কর্মকর্তাদের অবহিত করেছিলেন।
পরে হায়নের আড়িপাতার সরঞ্জাম আইডিএফ বাজেয়াপ্ত করে এবং দাবি করে, তার কার্যকলাপ ওই এলাকার যুদ্ধ বাহিনীকে বিপন্ন করে তুলেছে।
সোমবার ইসরাইলি সংবাদপত্র মারিভকে হায়ন বলেন, ‘এই মুহূর্তে, হামাস অবিরাম প্রশিক্ষণ দিচ্ছে, মূলত ভূগর্ভে এবং এমন জায়গায় যেখানে অন্তত আপাতত আইডিএফ কাজ করছে না। তারা কেবল প্রশিক্ষণই দিচ্ছে না, তাদের পদমর্যাদার জন্য বিপুল সংখ্যক নতুন লোক নিয়োগও করছে। ’
হামাস কি আবার যুদ্ধ শুরু করবে?
হায়ান বলেন, ‘আমি যা শুনেছি, তা থেকে তারা এখনও জানে না যে পূর্ণ তীব্রতার সাথে যুদ্ধে ফিরে আসার ক্ষেত্রে কী হবে। কিন্তু এই মুহূর্তে তারা এটিকে অগ্রাধিকার হিসেবে বিবেচনা করছে না। যতক্ষণ পর্যন্ত তাদের হাতে জিম্মি থাকবে ততক্ষণ পরিস্থিতি অপরিবর্তিত থাকবে। বর্তমানে তাদের কাছে যে শক্তি রয়েছে তা হল জিম্মিদের। তারা জানে যে এটিই তাদের জীবিত রাখবে এবং ইসরাইলি বাহিনী (যেখানে জিম্মিদের রাখা হয়েছে) সেই স্থানে আক্রমণ করে না।’
হায়নের দাবি, হামাসের কার্যক্রমের ধরণ ব্যাপকভাবে পরিবর্তিত হয়েছে। তিনি বলেন, ‘হামাসের যা পরিবর্তন হয়েছে তা হল-তারা আগে ভূমির উপরে যুদ্ধ করত, এবং এখন তারা কেবল মাটির নিচে যুদ্ধ করে। তারা খুব কম প্রকাশ্যে আসে। তারা প্রতিটি যোদ্ধাকে একটি ক্যামেরা রাখতে বলে যাতে তারা রিয়েল-টাইমে সবকিছু রেকর্ড এবং সম্প্রচার করতে পারে। ’
ইসরাইলি এই নাগরিক আরও বলেন, ‘তারা প্রতিদিন এমনভাবে অস্ত্র পাচার করে যা আইডিএফ সনাক্ত করতে পারে না। ’