যদি ইউরোপীয় শক্তিগুলো জাতিসংঘের প্রতিবেদনকে রাজনৈতিকভাবে ব্যবহার করে তবে প্রতিশোধের হুঁশিয়ারি দিয়েছে ইরান। রোববার দেশটির পক্ষ থেকে এ সতর্কতা দেওয়া হয়।
আন্তর্জাতিক আণবিক শক্তি সংস্থার (আইএইএ) ওই প্রতিবেদনে দাবি করা হয়, ইরান তার সমৃদ্ধ ইউরেনিয়ামের মজুদ তীব্রভাবে ৬০ শতাংশ পর্যন্ত বাড়িয়েছে, যা পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির জন্য প্রয়োজনীয় প্রায় ৯০ শতাংশ স্তরের কাছাকাছি।
এক বিবৃতির উদ্ধৃতি দিয়ে তেহরান থেকে এএফপি জানায়, ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরাকচি শনিবার আন্তর্জাতিক আণবিক শক্তি সংস্থার (আইএইএ)-এর প্রধান গ্রোসিকে ‘তাদের রাজনৈতিক উদ্দেশ্য অর্জনের জন্য পারমাণবিক পর্যবেক্ষণ সংস্থার প্রতিবেদনকে কাজে লাগানো থেকে’ দলগুলোকে বিরত রাখার আহ্বান জানিয়েছেন।
বিবৃতিতে আরো বলা হয়, আইএইএ প্রধান রাফায়েল গ্রোসিকে এক ফোনালাপে ব্রিটেন, ফ্রান্স ও জার্মানির কথা উল্লেখ করে আরাকচি বলেছেন, ২০১৫ সালের চুক্তির ‘ইউরোপীয় পক্ষগুলোর যেকোনো অনুপযুক্ত পদক্ষেপের জবাব দেবে ইরান।’
ইউরোপীয় ত্রয়ী সতর্ক করেছে যে, ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি মহাদেশের নিরাপত্তার জন্য হুমকিস্বরূপ হলে তারা পুনরায় নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে পারে।’
৯ জুন থেকে ভিয়েনায় শুরু হওয়া আসন্ন ত্রৈমাসিক বৈঠকে ইরানের পারমাণবিক কর্মকাণ্ড পর্যালোচনা করবে আইএইএ বোর্ড অফ গভর্নরস।
পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির চেষ্টা করছে এই আশঙ্কায় বহু বছর ধরে পারমাণবিক কর্মকাণ্ড সীমিত করার প্রচেষ্টার সর্বশেষ পদক্ষেপ হিসেবে তৈরি আইএইএ-এর প্রতিবেদনটি প্রত্যাখ্যান করেছে ইরান।
ইসলামিক প্রজাতন্ত্র পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির কথা অস্বীকার করেছে এবং বলেছে যে বেসামরিক বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য তাদের ইউরেনিয়ামের প্রয়োজন।