বিএনপির প্রচার সম্পাদক ও বিবেকানন্দ ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপের চেয়ারম্যান সুলতান সালাউদ্দিন টুকু বলেছেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, দিল্লি নয়, পিন্ডি নয়, নয় অন্য কোনো দেশ, সবার আগে বাংলাদেশ। বাংলাদেশকে আমাদের বুকে ধারণ করতে হবে। বাংলাদেশকে বুকে ধারণ করতে পারলেই আগামীর বাংলাদেশ হবে গণতন্ত্রের বাংলাদেশ। তাই আমরা ভাই ভাই হিসেবে আগামীর পথ চলতে চাই।
সালাউদ্দিন টুকু বলেন, আমাদের টাঙ্গাইলের একটা ঐতিহ্য রয়েছে। বিগত দিনে জাতীয় দলের অধিকাংশ খেলোয়াড় ছিল টাঙ্গাইলের। আগামী দিনেও আমরা টাঙ্গাইল থেকে জাতীয় দলের খেলোয়াড় বের করব ইনশাআল্লাহ।
তিনি বলেন, বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারের সন্ত্রাসীরা টাঙ্গাইলে রাজত্ব কায়েম করেছে। তারা বিভিন্ন গ্রুপে গ্রুপে গোলাগুলি করেছে। তারা অনেক মানুষকে হত্যা করেছে। অনেক নিরীহ মানুষকে পঙ্গু করে দিয়েছে। দাইন্যা ইউনিয়ন পরিষদের জনপ্রিয় চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলামকে হত্যা করেছে। এমন টাঙ্গাইল আর হতে দেওয়া হবে না। আগামীর টাঙ্গাইল হবে সন্ত্রাসমুক্ত, চাঁদাবাজ মুক্ত সবার জন্য নিরাপদ টাঙ্গাইল। সেজন্য সবার সার্বিক সহযোগিতা চান সুলতান সালাউদ্দিন টুকু।
বিবেকানন্দ চ্যাম্পিয়নশিপের সভাপতি ও টাঙ্গাইল প্রেস ক্লাবের সভাপতি জাফর আহমেদের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন-জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ফরহাদ ইকবাল, সাবেক সদস্য সচিব মাহমুদুল হক সানু, সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি আজগর আলী, জেলা বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক আশরাফ পাহেলী, শহর বিএনপির সহ-সভাপতি শাহীন আকন্দ, কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সহ-সভাপতি আরিফুর ইসলাম আরিফ, যুবদলের আহবায়ক খন্দকার রাশেদুল আলম রাশেদ, কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সাবেক সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক মির্জা ফয়সাল, জেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক দুর্জয় হোড়, সদস্য সচিব এম এ বাতেন, জেলা যুবদলের সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক জাহিদ হাসান মালা, শহর যুবদলের আহ্বায়ক রাশেদ খান সোহাগ প্রমুখ।
আলোচনা সভার শুরুতে জার্সি উন্মোচন ও ট্রফি উন্মোচন করেন অতিথিরা। পরে বিবেকানন্দ স্কুলের শিক্ষার্থী, টাঙ্গাইল ক্লাব রোড ব্র্যান্ড ও জনপ্রিয় ব্র্যান্ড দল ওয়ারফেজ সঙ্গীত পরিবেশন করে।
বিবেকানন্দ চ্যাম্পিয়নশিপে ১৯৯০ সাল থেকে ২০২৬ সালের এসএসসি ব্যাচের ২০টি দল অংশ নেবে।