বৃহস্পতিবার, ১০ জুলাই ২০২৫, ০২:৫২ পূর্বাহ্ন

চাঁদপুরে গ্রাহকের কোটি টাকা নিয়ে লাপাত্তা সমিতির চেয়ারম্যান

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশের সময়ঃ বুধবার, ৯ জুলাই, ২০২৫
  • ৫ প্রদর্শন করেছেন

চাঁদপুরে যুবধারা সঞ্চয় ও ঋণদান সমবায় সমিতি লিমিটেডের চেয়ারম্যান জুলহাস মিয়ার বিরুদ্ধে সহস্রাধিক গ্রাহকের কয়েক কোটি টাকা মেরে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। টাকা নিয়ে তিনি গত দুই সপ্তাহ ধরে উধাও হয়ে গেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এতে গ্রাহকদের মাথায় হাত; তাদের মধ্যে উদ্বেগ ও চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে।

জানা গেছে, বাকিলা এলাকায় যুবধারা সমবায় সমিতির প্রধান কার্যালয়সহ চাঁদপুরের চেয়ারম্যান ঘাট ও বাবুরহাট ব্রাঞ্চে দীর্ঘদিন ধরে তালা ঝুলছে। অফিস বন্ধ থাকায় প্রতিদিন অসংখ্য গ্রাহক এসব শাখার সামনে ভিড় করছেন। অনেকেই ফেসবুকে জুলহাস মিয়ার ছবি দিয়ে তার খোঁজে প্রচারণা চালাচ্ছেন। কেউ কেউ পুরস্কার ঘোষণা করে পোস্টও দিয়েছেন।

বেশ কয়েকজন গ্রাহক প্রায় একই রকম তথ্য দিয়ে জানান, জুলহাস আত্মগোপনে যাওয়ার আগেই গ্রাহকদের সঞ্চয় বই সংগ্রহ করে নেন। বিভিন্নজনকে নগদ অর্থ ও বোনাস দেওয়ার আশ্বাস দেন। কেউ কেউ ব্যাংক চেক পেলেও তা প্রত্যাহার করতে ব্যর্থ হন। এভাবে ধাপে ধাপে তিনি কয়েক কোটি টাকা তুলে নেন বলে অভিযোগ উঠেছে।

একাধিক ভুক্তভোগী জানান, কেউ এক লাখ, কেহ চার লাখ, আবার কেউবা ১০ থেকে ১২ লাখ টাকা পর্যন্ত জমা রেখেছেন এই সমবায় সমিতিতে। এক নারী গ্রাহক জানান, আমি ১২ লাখ টাকা জমা রেখেছিলাম, এখন কিছুই বুঝে পাচ্ছি না।

আরও একাধিক গ্রাহক জানান, টানা ঘোরাঘুরি ও আশ্বাসে তারা ক্লান্ত হয়ে পড়েছেন।

এছাড়াও উক্ত জুলহাসের বিরুদ্ধে চাঁদপুর কোর্টে ‘চান্দ্রা শিক্ষিত বেকার সমিতি’র পক্ষ থেকে দেওয়া ৭৫ লাখ টাকার দুটি চেক প্রতারণা মামলা চলমান রয়েছে বলে বেশ কয়েকজন গ্রাহক জানান।

আরো জানা যায়, আত্মগোপনের আগে তিনি তার ব্যক্তিগত বাড়িও বিক্রি করে দেন। এখন তার কোনো হদিস পাওয়া যাচ্ছে না। একাধিকবার ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি সাড়া দেননি।

এদিকে অন্তত ৪০ থেকে ৫০ গ্রাহক একযোগে থানায় মামলা করার প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলে জানান। তারা বলেন, আমাদের শেষ ভরসা এখন আইন। যদি জুলহাস সত্যি আত্মগোপন না করে থাকেন, তবে দ্রুত ফিরে এসে আমাদের অর্থ ফেরত দিন। নতুবা আমরা আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে বাধ্য হব।

এ ব্যাপারে প্রশাসনের দ্রুত হস্তক্ষেপ চান ভুক্তভোগী গ্রাহকরা। লাপাত্তা হয়ে যাওয়ায় জুলহাসের কোনো বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।

 

শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ধরনের আরও সংবাদ