রবিবার, ১৩ জুলাই ২০২৫, ০২:২২ পূর্বাহ্ন

অগণতান্ত্রিক শক্তির বিষয়ে সজাগ থাকতে হবে: যুবদল সভাপতি

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশের সময়ঃ শনিবার, ১২ জুলাই, ২০২৫
  • ৫ প্রদর্শন করেছেন

তরুণদের মধ্যে জাতীয়তাবাদী আদর্শের জনপ্রিয়তা বাড়ছে দেখে একটি গোপন সংগঠন উদ্দেশ্যমূলকভাবে বিভ্রান্তিমূলক কর্মকাণ্ড চালাচ্ছে বলে অভিযোগ তুলেছেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী যুবদলের সভাপতি আব্দুল মোনায়েম মুন্না।

সবাইকে সতর্ক করে তিনি বলেন, আইনশৃঙ্খলার অবনতি ঘটিয়ে যেন কোনো অগণতান্ত্রিক শক্তি মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে না পারে, সে বিষয়ে সবাইকে সজাগ থাকতে হবে।

শনিবার (১২ জুলাই) সকালে এক সংবাদ সম্মেলনে মিটফোর্ডে যুবদল কর্মী সোহাগকে প্রকাশ্য দিবালোকে হত্যা ও নৃশংসতার তীব্র নিন্দা জানায় যুবদল ও ছাত্রদল।

এ সময় দেশে সাম্প্রতিক সহিংসতা ও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদলের শীর্ষ নেতারা।

অভিযুক্ত পাঁচজনকে সংগঠন থেকে আজীবনের জন্য বহিষ্কার করা হয়েছে জানিয়ে যুবদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি আব্দুল মোনায়েম মুন্না বলেন, ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গেলেও তিনজনকে বাদ দিয়ে মামলায় অন্য তিনজনকে আসামি করা হয়েছে। এর পেছনে উদ্দেশ্য আছে কি না, সেটা খতিয়ে দেখতে হবে। আমরা সবসময় দায়িত্বপূর্ণ রাজনীতিতে বিশ্বাসী, কোনো ঘটনা ঘটলে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নিই।

এদিকে খুলনায় যুবদল কর্মীকে রগ কেটে হত্যার ঘটনাতেও সরকার ও প্রশাসনের নীরবতা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন যুবদল সভাপতি। তিনি বলেন, রগ কাটা রাজনীতির ইতিহাস একটি নির্দিষ্ট দলের। এসব ঘটনার পেছনে প্রশাসনিক ব্যর্থতা রয়েছে।

মোনায়েম মুন্না বলেন, গত ৫ আগস্ট দীর্ঘ দেড়যুগের অবর্ননীয় নির্যাতন, নিপীড়ন, গুম, খুন, সোয়া লাখ গায়েবি মামলা, ইতিহাসের বর্বরতম ফ্যাসিবাদী নিষ্পেষণ থেকে দেশ, জাতি ও বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের নেতাকর্মীরা মুক্তি লাভ করে। এই দীর্ঘ ১৬ বছর যাবৎ বিএনপির নেতাকর্মীরাই নিজেদের জীবন, ক্যারিয়ার, পরিবার, ব্যবসাসহ জীবন ও সম্পদকে বিপন্ন করে এক বর্বর ফ্যাসিস্ট একনায়কের বিরুদ্ধে মাঠের প্রতিরোধটুকু জারি রেখেছিল। তারা গুম, খুন, অপহরণসহ নানামাত্রিক বর্বরতার নির্মম শিকার হয়েও কখনো মাঠ ছেড়ে যায়নি। গত জুলাইয়ের আন্দোলনেও আমরাই সবচাইতে বেশি ত্যাগ স্বীকার করেছি। সর্বমোট যে শহীদের তালিকা আমরা অদ্যবধি পেয়েছি, তার প্রায় অর্ধেকসংখ্যকই আমাদের দলীয় নেতাকর্মী। কিন্তু গণঅভ্যুত্থানের সফলতার পর আমরা ক্রেডিটের নেশায় মোহগ্রস্ত না হয়ে, শহীদদের রক্ত নিয়ে ব্যবসা না করে স্বাভাবিক সাংগঠনিক কার্যক্রমে ফিরে গেছি।

শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ধরনের আরও সংবাদ