ঢাকার উত্তরায় বিমানবাহিনীর একটি প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্ত হওয়ার ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৯ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছে ৫০ জনের বেশি।
সোমবার ঘটনাস্থলে সংবাদ সম্মেলনে ফায়ার সার্ভিসের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মুহাম্মদ জাহেদ কামাল এ তথ্য জানিয়েছেন।
বিধ্বস্তের ঘটনায় নিহত দুই শিক্ষার্থীর পরিচয় পাওয়া গেছে। একজন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (ঢামেক) এবং অপরজন জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে মারা গেছে। তারা হলো- জুনায়েদ ও তানভীর আহমেদ।
সোমবার দুপুরে উত্তরায় মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের ভবনে বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্তের ঘটনা ঘটে। এরপর বিমানটির ধ্বংসাবশেষ নিচে ছিটকে পড়ায় বহু মানুষ দগ্ধ হন।
বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় আহত শিক্ষার্থীদের মধ্যে একজন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (ঢামেক) মারা গেছে। তার নাম জুনায়েদ। সে উত্তরার নয়ানগরের বাসিন্দা আসলামের সন্তান এবং মাইলস্টোন স্কুলের তৃতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী।
এর আগে দগ্ধ চারজনকে উদ্ধার করে মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে ওই শিক্ষার্থী মারা যান। বাকি তিনজনকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
চিকিৎসাধীন তিনজনের মধ্যে একজনের শরীরের প্রায় ৩০ শতাংশ পুড়ে গেছে বলে ঢামেক হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন।
ঢাকা মেডিকেল কলেজের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আসাদুজ্জামানসহ হাসপাতালের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা হাসপাতালে সার্বিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছেন।
এদিকে জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে তানভীর আহমেদ নামে আহত এক শিক্ষার্থী মারা গেছে। সে মাইলস্টোল স্কুলের ইংরেজি ভার্সনের অষ্টম শ্রেণির ছাত্র ছিল। সোমবার বিকালে জাতীয় বার্নের আবাসিক চিকিৎসক শাওন বিন রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেন।