বৃহস্পতিবার, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০২:০৩ পূর্বাহ্ন

বিএনপিকে প্রতিদ্বন্দ্বী মনে করে শিবিরকে সাপোর্ট দিচ্ছে আওয়ামী লীগ

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশের সময়ঃ বুধবার, ১০ সেপ্টেম্বর, ২০২৫
  • ৬ প্রদর্শন করেছেন
সদ্য অনুষ্ঠিত হয়ে যাওয়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগের সবাই শিবিরকে ভোট দিয়েছে। বিএনপিকে প্রতিদ্বন্দ্বী মনে করে আওয়ামী লীগ এখন শিবিরকে সাপোর্ট দিচ্ছে।
ডাকসু নির্বাচনের ফলাফল প্রসঙ্গে মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর) একটি টকশোতে হাজির হয়ে এসব কথা বলেছেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ড. আসাদুজ্জামান রিপন।
গতকাল (৯ সেপ্টেম্বর) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে শীর্ষ তিন পদে বিজয়ী হয়েছে ছাত্রশিবির সমর্থিত প্যানেল। ভিপি পদে মো. আবু সাদিক (সাদিক কায়েম), জিএস পদে এসএম ফরহাদ ও এজিএস পদে মহিউদ্দিন খান জয় পেয়েছেন।
ফলাফলে দেখা যায়, ১২টি সম্পাদকীয় পদের মধ্যে ৯টিতে ছাত্রশিবির সমর্থিত প্যানেলের প্রার্থীরা জয়লাভ করেছেন। বাকি তিনটি পদে স্বতন্ত্র প্রার্থীরা জয়ী হয়েছেন।
এবার ডাকসুতে ২৮টি পদের বিপরীতে প্রার্থী হয়েছেন ৪৭১ জন। আর ১৮টি হল সংসদে নির্বাচন হবে ১৩টি করে পদে। হল সংসদের ২৩৪টি পদের বিপরীতে প্রার্থী হয়েছেন ১ হাজার ৩৫ জন।
বিএনপি নেতা রিপন মনে করেন, ছাত্রদলকে পরাজিত করতে শিবিরের সঙ্গে পুরনো বন্ধুত্বের সম্পর্ক জারি রেখেছে কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠন ছাত্রলীগ।
তিনি বলেন, ‘যেহেতু ছাত্রলীগ এখন নিষিদ্ধ এবং ছাত্রলীগের সঙ্গে তাদের অনেকেই মিলেমিশে ছিল, একটা তো সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক, বন্ধুত্ব তাদের অনেকের সঙ্গে ছিল।ছাত্রলীগের ভোট তো কোথাও না কোথাও যাবে। একটা ওল্ড টাই ওল্ড রিলেশন, এগুলোর তো একটা ব্যাপার থাকে। পুরনো বন্ধুত্বের কারণে, সম্পর্কের কারণে ওদের দিকে কিছু ভোট বাড়েও।’
রিপন বলেন, ‘ছাত্রলীগের সঙ্গে তো শিবিরের একটা স্বাচ্ছন্দ্যের সম্পর্ক ছিল, দীর্ঘদিনের একটা গুপ্ত বা গোপনীয় সম্পর্ক ছিল।’ এই বক্তব্যের ব্যাখ্যাও দেন বিএনপির এই নেতা। তার ভাষায়, ‘ছাত্রলীগের যেহেতু এখন ভোট দেওয়ার কোনো বাক্স নাই, তারা তো শিবিরকে সাহায্য করবে। জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল গঠনতান্ত্রিকভাবে আমাদের সহযোগী সংগঠন। মূল দল বিএনপি, আমাদের। তো সেই দলটির যেহেতু একটা পরবর্তীতে সরকার পরিচালনার একটা সম্ভাব্য অবস্থান আছে, সেই কারণে আওয়ামী লীগ তো স্বাভাবিকভাবেই বিএনপিকেই প্রতিদ্বন্দ্বী মনে করবে। সুতরাং বিএনপি রাষ্ট্র ক্ষমতায় আসলে এটা তো সবচেয়ে আওয়ামী লীগ বেশি ক্ষতিগ্রস্ত বোধ করবে। সুতরাং বিএনপির ক্ষমতায় যাওয়ার পথটা যাতে অমসৃন থাকে, বাধাগ্রস্ত হয়, একটু চাপে থাকে- এই ধরনের একটা চেষ্টা তো তাদের ছাত্রলীগের পক্ষে, তাদের মুরুব্বিদের তরফ থেকে অ্যাডভাইস তো থাকতেই পারে।’

শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ধরনের আরও সংবাদ