যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত দেশটির রাষ্ট্রদূত পিটার ম্যান্ডেলসনকে বরখাস্ত করেছেন। দোষী সাব্যস্ত যৌন অপরাধী জেফরি এপস্টেইনের সঙ্গে তার সম্পর্ক ঘিরে নতুন তথ্য প্রকাশের পর বৃহস্পতিবার এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
বৃহস্পতিবার (১১ সেপ্টেম্বর) এক প্রতিবেদনে এ খবর দিয়েছে অ্যাসোসিয়েট প্রেস।
ব্রিটিশ পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী স্টিফেন ডাউটি পার্লামেন্টে জানান, সম্প্রতি প্রকাশিত ইমেইলগুলোতে দেখা গেছে ২০০০ সালের দিকে ম্যান্ডেলসন এপস্টেইনকে সমর্থন জানিয়েছিলেন, এমনকি ২০০৮ সালে তার প্রথম দণ্ডকে “ভুল” আখ্যা দিয়ে চ্যালেঞ্জ করার পরামর্শও দিয়েছিলেন। এসব তথ্য তার সম্পর্কের গভীরতা সম্পর্কে পূর্বের ধারণাকে ‘মূলগতভাবে বদলে দেয়।’
ম্যান্ডেলসন চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে রাষ্ট্রদূতের দায়িত্ব নেন। তিনি এর আগে দুঃখ প্রকাশ করে বলেছেন, এপস্টেইনের অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড সম্পর্কে তিনি কিছু জানতেন না। তবে বুধবার ব্রিটিশ দৈনিক দ্য সান ইমেইল প্রকাশ করে, যেখানে ম্যান্ডেলসন এপস্টেইনকে বলেছিলেন—‘তুমি দ্রুত মুক্তির জন্য লড়াই করো’ এবং দণ্ড কার্যকর হওয়ার আগে লিখেছিলেন, ‘আমি তোমা
বরখাস্তের এই সিদ্ধান্ত স্টারমারের জন্য বড় ধাক্কা হিসেবে দেখা হচ্ছে। কারণ মাত্র একদিন আগেই তিনি ম্যান্ডেলসনের প্রতি ‘আস্থা’ প্রকাশ করেছিলেন। এর মধ্যেই আগামী সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের লন্ডন সফরকে কেন্দ্র করে বিতর্ক তৈরি হয়েছে।
অন্তর্বর্তীকালীন রাষ্ট্রদূত হিসেবে দায়িত্ব নেবেন ওয়াশিংটনে নিযুক্ত যুক্তরাজ্যের ডেপুটি হেড অব মিশন জেমস রস্কো। তিনি একজন অভিজ্ঞ কূটনীতিক এবং রানী দ্বিতীয় এলিজাবেথের সাবেক যোগাযোগ উপদেষ্টা।
ম্যান্ডেলসন ব্রিটিশ রাজনীতিতে বিতর্কিত চরিত্র হিসেবে পরিচিত। টনি ব্লেয়ারের সরকারের সময় তিনি দুই দফা মন্ত্রিত্ব থেকে পদত্যাগ করেছিলেন। পরে তিনি ইউরোপীয় কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন এবং গর্ডন ব্রাউনের মন্ত্রিসভায়ও যোগ দেন। বাণিজ্য বিষয়ে তার দক্ষতা যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে নতুন বাণিজ্য চুক্তি করতে ভূমিকা রাখলেও, এপস্টেইন কেলেঙ্কারিতে তার পুরো কূটনৈতিক ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।