অভিনেতা সালমান খানের ‘বিগ বস ১৯’–এর ঘরে অন্যতম আলোচিত সদস্য অভিনেত্রী কণিকা সদানন্দ। তার এন্ট্রি বেশ আলোড়ন সৃষ্টি করেছিল। কারণ সেই সময় সঞ্চালক নিজেই জানিয়ে দেন— তিনি অনেক বছর ধরে কণিকাকে চেনেন।
শুধু অভিনেত্রীই নন কণিকা সদানন্দ। তিনি একজন সমাজকর্মী ও প্রশিক্ষিত আইনজীবী। ‘ক্রান্তিবীর’ ও ‘দিলওয়ালে’র মতো সিনেমায় তার অভিনয় নব্বইয়ের দশকে পরিচিত মুখ করে তোলে। কিন্তু তার আসল লড়াই শুরু হয় পর্দার বাইরে— নারী অধিকার, আইনি সচেতনতা এবং সমাজে ন্যায় প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে।
আর সেটি আরও একবার জানা যায়, বিগ বসে কণিকা সদানন্দ আর সংগীতশিল্পী কুমার শানুকে ঘিরে আলোচনায়। তবে কণিকার এই অতীত প্রেম নিয়ে এবার কথা বললেন তার ছেলে আয়ান লাল, যার চোখে সেই সম্পর্ক ছিল ‘অত্যন্ত বিষাক্ত’।
সম্প্রতি সিদ্ধার্থ কাননকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে আয়ান বলেন, আমি সেই সম্পর্কের অনেক পরে জন্মেছি। শানুকে সামনাসামনি কখনো দেখিনি। কিন্তু মা এখনো তার শিল্পীসত্তাকে শ্রদ্ধা করেন। এটা প্রেম নয়, এটা শিল্পের প্রতি এক গভীর সম্মান বলে জানান আয়ান।
তিনি বলেন, ‘মা কখনো আবেগে অন্ধ হন না। এটা অহংকার নয়, এটা তার আত্মসম্মানের প্রতিফলন। আমি যখন গুগলে তার নাম খুঁজি। মা বলেন, তিনি আমার জীবনে একসময় খুব গুরুত্বপূর্ণ ছিলেন। আমি তাকে আত্মার সঙ্গী মনে করতাম। প্রত্যেকের জীবনে একবার এমন ভালোবাসা হওয়া উচিত। কিন্তু সেটা ছিল বিষাক্ত— খুবই, খুবই বিষাক্ত। মা জানিয়েছিলেন— এই প্রেম ছিল গোপণ। কারণ তিনি শানুর বৈবাহিক অবস্থার প্রতি সম্মান রেখেছিলেন।
আয়ান বলেন, ‘সম্পর্কটি যন্ত্রণাদায়ক হলেও তা আমাদের জীবনে গভীর ছাপ রেখে গেছে। আমরা সেই ছায়া থেকে ধীরে ধীরে বেরিয়ে আসছি।
আয়ান আরও বলেন, যখন আমার প্রেমিকা ছিল, তখন মায়েরও প্রেমিক ছিল। সেই সময়টা আমাদের মধ্যে এক অদ্ভুত বোঝাপড়া তৈরি করেছিল। আমরা একে অপরকে আরও ভালোভাবে বুঝতে শিখেছি।
উল্লেখ্য, নব্বইয়ের দশকে কণিকার ব্যক্তিজীবন মিডিয়ায় শোরগোল ফেলে দেয়। জনপ্রিয় গায়ক কুমার শানুর সঙ্গে তার ঘনিষ্ঠতা নিয়ে জোর গুঞ্জন শুরু হয়। সেই সময়ে শানুর দাম্পত্য ভাঙনের মুখে ছিল, আর কণিকাই হয়ে উঠেছিলেন তার মানসিক ভরসা। তিনি শুধু গায়কের সঙ্গীই ছিলেন না, বরং তার আর্থিক হিসাব–নিকাশ থেকে শুরু করে পারিবারিক দায়িত্ব—সবকিছু নিজের কাঁধে তুলে নিয়েছিলেন।
সেই সময়ে এক সাক্ষাৎকারে কণিকা নিজেই স্বীকার করেছিলেন, আমি তার কাছে স্ত্রীর মতোই ছিলাম। কুমার শানুকে আমার স্বামী বলে মনে করতাম। পাঁচ বছর ধরে সেই সম্পর্ক টিকে থাকলেও পরিণতি হয়নি সুখকর।