মাদক ও চোরাচালান দমনে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) সর্বদা অঙ্গীকারবদ্ধ। এর ধারাবাহিকতায় আজ এক বিশেষ অভিযানে বিপুল পরিমাণ ইয়াবা ট্যাবলেট জব্দ করেছে টেকনাফ ব্যাটালিয়ন (২ বিজিবি)।
গোপন তথ্যের ভিত্তিতে জানা যায় যে, টেকনাফ ব্যাটালিয়নের অধীনস্থ লেদা বিওপি’র দায়িত্বপূর্ণ খরেরদ্বীপ নামক এলাকা দিয়ে মায়ানমার হতে বিপুল পরিমাণ মাদক বাংলাদেশে প্রবেশ করবে। উক্ত তথ্যের ভিত্তিতে অধিনায়ক, ২ বিজিবি কর্তৃক প্রয়োজনীয় পরিকল্পনা শেষে তার নেতৃত্বে আনুমানিক ১০৩০ ঘটিকায় লেদা বিওপি হতে একটি বিশেষ টহলদল অভিযান পরিচালনার জন্য উক্ত এলাকায় মোতায়েন হয়। আজ ২৪ সেপ্টম্বর ২০২৫ তারিখ আনুমানিক ১১৪০ ঘটিকায় আভিযানিক দল লেদা বিওপি’র দায়িত্বপূর্ণ এলাকায় আলীখাল পোস্ট হতে আনুমানিক ৫০০ মিটার পূর্ব দিকে খড়েরদ্বীপের কিনারায় নদীর পাড়ে একজন জেলেকে একটি প্লাষ্টিকের ব্যাগসহ ঘুরোফেরা করতে দেখতে পায়। উক্ত জেলের গতিবিধি সন্দেহজনক মনে হওয়ায় আভিযানিক দল তাকে ধরার জন্য অগ্রসর হলে বিজিবি সদস্যদের উপস্থিতি টের পেয়ে চোরাকারবারীর হাতে থাকা প্লাষ্টিকের ব্যাগটি কাদা পানিতে ফেলে দিয়ে কেওড়া বনের গভীরে পালিয়ে যায়। ঘটনাস্থলে আভিযানিক দল তাৎক্ষণিকভাবে চোরাকারবারীকে ধরতে আলীখাল ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় চিরুনি অভিযান চালায়। এ সময় পালিয়ে যাওয়া চোরাকারবারীর ফেলে রাখা প্লাষ্টিকের ব্যাগটি তল্লাশি চালিয়ে বিশেষ কৌশলে মোড়ানো ৩৯,২০০ (ঊনচল্লিশ হাজার দুইশত) পিস ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করা হয়। বিজিবি’র সতর্ক সীমান্ত প্রহরা এবং নিবিড় গোয়েন্দা নজরদারির কারণে এই অভিযান সফল হলেও, জেলে বেশধারি মাদক পাচারকারী পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়। তবে, পাচারকারীর পরিচয় শনাক্ত করা সম্ভব হয়েছে এবং আইনের আওতায় আনতে অভিযান চালাচ্ছে টেকনাফ ব্যাটালিয়ন। জব্দকৃত ইয়াবা ট্যাবলেট মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা দায়ের পূর্বক টেকনাফ থানায় জমা করার কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন। মাদক বহনকারী পলাতক আসামী বিস্তারিত ঠিকানা নিম্নরুপঃ
আনোয়ার হোসেন (প্রকাশ লেডা মিয়া)(৩৫), পিতা-হাজী লুলু মিয়া, গ্রামঃ উলুচামারী লামার পাড়া, পোস্ট-রঙ্গী খালী, থানা-টেকনাফ, জেলা-কক্সবাজার।
এই অভিযানটি পাচারকারীদের প্রতি একটি স্পষ্ট বার্তা বহন করে যে, যেকোনো অপতৎপরতা রুখে দিতে বিজেপি সিদ্ধহস্ত এবং দেশকে মাদক চোরাচালানমুক্ত রাখতে আমরা দৃঢ় প্রতিজ্ঞ।