টিম রবিনসনের সেঞ্চুরির পরও হারল তার দল নিউজিল্যান্ড। অস্টেলিয়ার পিবক্ষে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথমটিতে মিচেল মার্শের ঝড়ো ব্যাটিংয়ে দাপুটে জয় পেয়েছে অস্ট্রেলিয়া। মিচেল মার্শ ৪৩ বলে ৯টি চার আর ৫টি ছক্কার সাহায্যে ৮৫ রানের ইনিংস খেলে অস্ট্রেলিয়ার জয়ে বড় ভূমিকা রাখেন।
বুধবার নিউজিল্যান্ডের মাউন্ট মঙ্গানুইতে টসে হেরে আগে ব্যাট করতে নেমে ৬ উইকেটে ১৮১ রান করে স্বাগতিক নিউজিল্যান্ড। সেই রান তাড়া করে ২১ বল হাতে রেখেই ৬ উইকেটে জয় নিশ্চিত করে অস্ট্রেলিয়া।
১৮২ রানের লক্ষ্য তাড়ায় শুরুটা দারুণ ছিল দুই ওপেনার মিচেল মার্শ ও ট্রাভিস হেডের। দুজন মিলে গড়েন ৩৩ বলে ৬৭ রানের জুটি। হেড খেলেন ১৮ বলে ৩১ রান, আউট হন ম্যাট হেনরির বলে। তবে মার্শ থামেননি। ২৩ বলে ফিফটি করে ঝড় চালিয়ে যান।
তিন নম্বরে নেমে ম্যাথু শর্ট করেন ১৮ বলে ২৯। তখনই কিউই বোলারদের ওপর ঝড় নেমে গেছে। ৮.৩ ওভারেই অস্ট্রেলিয়ার রান পৌঁছে যায় তিন অঙ্কে। ম্যাচ তখন কার্যত আনুষ্ঠানিকতায় গড়ায়। নয় চার ও পাঁচ ছক্কায় মার্শের ৪৩ বলে ৮৫ রানের ইনিংস জয় নিশ্চিত করে। টিম ডেভিডও খেলেছেন ১২ বলে ২১ রানের ইনিংস। ম্যাচসেরা হয়েছেন মার্শ।
এর আগে নিউজিল্যান্ডের শুরুটা ছিল ভয়ংকর। মাত্র ৬ রানে দলটি হারায় ৩ উইকেট। সেখান থেকে টিম রবিনসনের অসাধারণ ইনিংসে ঘুরে দাঁড়ায় তারা। ২৩ বছরের এই ব্যাটসম্যান খেলেছেন ৬৬ বলে ১০৪ রান, ছয় চার ও পাঁচ ছক্কায় সাজানো তার ইনিংস। শেষ দিকে ড্যারিল মিচেল করেন ২৩ বলে ৩৪ রান।
রবিনসন আজ নিউজিল্যান্ডের দ্বিতীয় সর্বকনিষ্ঠ ব্যাটসম্যান হিসেবে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে সেঞ্চুরি করলেন। সেঞ্চুরির সময় তার বয়স ২৩ বছর ১৫৬ দিন। এর চেয়ে কম বয়সে সেঞ্চুরি করেছিলেন শুধু ফিন অ্যালেন—২৩ বছর ৯৬ দিনে, ২০২২ সালে স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে।
ম্যাচটা না জিতলেও রেকর্ড বইয়ে নাম লিখিয়েছে নিউজিল্যান্ড। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে ১০ রানের মধ্যে ৩ উইকেট পড়ার ম্যাচে নিউজিল্যান্ডের ১৮১ রান দ্বিতীয় সর্বোচ্চ দলীয় সংগ্রহ।