টেকনাফে নিখোঁজের ২৪ ঘণ্টা পর নুসাইবা নুসরাত আফসির (৪) মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। রবিবার (৫ অক্টোবর) দুপুরে পুকুর থেকে তার মরেদহ উদ্ধার করা হয়।
নুসাইবা নুসরাত আফসি ওই এলাকার ইঞ্জিনিয়ার মামুনুর রশিদ বাঁধনের মেয়ে।
এর আগে গতকাল শনিবার দুপুর ১টার দিকে শিশুটি টেকনাফ উপজেলার হ্নীলা ইউনিয়নের পূর্ব পানখালী হোয়াকিয়াপাড়ার বাড়ির আঙিনা থেকে নিখোঁজ হয়।
নিখোঁজের পর শিশুর পিতা ইঞ্জিনিয়ার মামুনুর রশিদ বাঁধন এক ফেসবুকে স্ট্যাটাসে লেখেন, ‘সকলের প্রতি বিনীত অনুরোধ করছি, আপনারা যে বা যারা দুষ্টুমির খেয়ালে আমার মেয়েকে নিয়ে থাকলে প্লিজ দিয়ে দেন। আমি কাউকে কিছুই বলবনা। প্লিজ প্লিজ আমার মেয়েকে ফিরিয়ে দাও। হে মহান আরশের মালিক সকলের মনে রহমত বাড়িয়ে দিন। আমার মেয়েকে আমাদের কাছে ফিরিয়ে দিন। আমিন। আমার ছোট্ট আফসি মনিকে ফিরিয়ে দাও। দুপুর ১টা থেকে আমার কলিজাকে খুঁজে পাচ্ছিনা।’
স্থানীয় ও পরিবারের দাবি, সিসিটিভি ফুটেজে শিশুটিকে দুইজন নারী রিকশায় তুলে নিয়ে যেতে দেখা গেছে। আজ দুপুরে বাড়ির পাশে পুকুরে ভাসমান অবস্থায় তার মরদেহ পাওয়া যায়। উদ্ধারের পর কানের দুল দুটি পাওয়া যায়নি এবং মুখে প্লাস্টারের দাগ। তাকে কানের দুলের জন্য পরিকল্পিতভাবে হত্যা করে পুকুরে ফেলে দেওয়া হয়েছে। অথচ নিখোঁজের দিন জাল দিয়ে একই পুকুরে ব্যাপকভাবে অনুসন্ধান করা হয়েছিল।
স্থানীয়দের ধারণা, এ শিশুটিকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। অথবা কানের দুল ছিনিয়ে নিতে এ হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে। সম্ভবত দুল ছিনিয়ে নেওয়াদের চিনতে পারায় তাকে হত্যা করে পুকুরে ফেলে দেওয়া হয়েছে।
টেকনাফ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু যায়েদ মো. নাজমুন নুর জানান, মরদেহ মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় সন্দেহভাজন ছয়জনকে আটক করে পুলিশে দিয়েছে স্থানীয়রা। এসময় এলাকাবাসীর রোষানল থেকে আটককৃতদের বাঁচাতে পুলিশের পাশাপাশি বিজিবি সদস্যরাও নিয়োজিত ছিল। তবে এখনো নিশ্চিতভাবে বলা যাচ্ছে না কে বা কারা এই হত্যাকাণ্ডে জড়িত। তদন্ত চলছে। প্রকৃত অপরাধীদের আইনের আওতায় আনা হবে।