শনিবার, ২২ নভেম্বর ২০২৫, ০৩:৩২ অপরাহ্ন

সেই চার্লি কার্ককে মরণোত্তর পদক দিলেন ট্রাম্প

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
  • প্রকাশের সময়ঃ বুধবার, ১৫ অক্টোবর, ২০২৫
  • ২১ প্রদর্শন করেছেন

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প মঙ্গলবার নিহত চার্লি কার্ককে মরণোত্তর ‘প্রেসিডেন্সিয়াল মেডেল অব ফ্রিডম’ প্রদান করেছেন। হোয়াইট হাউসের রোজ গার্ডেনে এক অনুষ্ঠানে ট্রাম্প তার স্ত্রী এরিকা কার্কের হাতে তুলে দেন এই পুরস্কার। সঙ্গে তাকে ‘স্বাধীনতার নির্ভীক যোদ্ধা’ বলে বর্ণনা করেন।

গত মাসে ইউটা ভ্যালি ইউনিভার্সিটিতে বক্তৃতা দেওয়ার সময় গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হন কার্ক। তার মৃত্যু আমেরিকার রাজনীতিতে আলোড়ন তোলে এবং রাজনৈতিক সহিংসতা নিয়ে নতুন বিতর্কের জন্ম দেয়।

রোজ গার্ডেনে এক গম্ভীর অনুষ্ঠানে ট্রাম্প বলেন, ‘আজ আমরা স্বাধীনতার এক নির্ভীক যোদ্ধাকে সম্মান জানাতে একত্র হয়েছি, এমন একজন প্রিয় নেতা যিনি তরুণ প্রজন্মকে এমনভাবে অনুপ্রাণিত করেছেন, যা আমি আগে কখনো দেখিনি।’

কার্ক ছিলেন টার্নিং পয়েন্ট ইউএসএর প্রতিষ্ঠাতা এবং ট্রাম্পের ২০২৪ সালের প্রচারণায় তরুণ ভোটারদের সংগঠিত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন। তিনি রক্ষণশীল রাজনীতির জন্য পরিচিত ছিলেন, তবে অনেকের কাছে বিতর্কিতও ছিলেন।

তার সমর্থকেরা তাকে ‘মতপ্রকাশের স্বাধীনতার সাহসী রক্ষক’ বলে আখ্যা দিয়েছেন। অন্যদিকে সমালোচকেরা বলেন, তিনি মূলধারার রক্ষণশীল রাজনীতিতে চরমপন্থী বক্তব্যকে স্বাভাবিক করে তুলেছিলেন।

কার্কের মৃত্যুর পর ট্রাম্প বলেন, ‘এটি কেবল একজন মানুষকে হারানোর ঘটনা নয়, এটি স্বাধীনতার বিরুদ্ধে আঘাত।’ তিনি প্রতিশ্রুতি দেন যে ‘চরম বামপন্থী উগ্রবাদ’ দমনে সরকার কঠোর পদক্ষেপ নেবে।

এরই অংশ হিসেবে ট্রাম্প প্রশাসন একাধিক ফেডারেল সংস্থা—যেমন এফবিআই, ডিপার্টমেন্ট অব হোমল্যান্ড সিকিউরিটি ও আইআরএসকে নির্দেশ দিয়েছে যাতে তারা রাজনৈতিক সহিংসতার সঙ্গে যুক্ত সংগঠনগুলোকে তদন্ত করে ও বাধা দেয়। তবে কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, কার্ক হত্যার সঙ্গে কোনো রাজনৈতিক বা কর্মী সংগঠনের সরাসরি সম্পর্কের প্রমাণ পাওয়া যায়নি।

কার্ককে মরণোত্তর পদক প্রদানের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্স, পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও, সিনেটর টেড ক্রুজ, মাইক লি, রিক স্কট এবং হাউস স্পিকার মাইক জনসনসহ শীর্ষ রিপাবলিকান নেতারা। সবাই মিলে কার্কের অবদানকে স্মরণ করেন এবং তার ‘সংগ্রামী রক্ষণশীল চেতনা’ বজায় রাখার অঙ্গীকার করেন।

গত সেপ্টেম্বরে প্রতিনিধি পরিষদ ও সিনেটে গৃহীত প্রস্তাব অনুযায়ী, ট্রাম্প ১৪ অক্টোবরকে ‘চার্লি কার্ক স্মরণ দিবস’ হিসেবে ঘোষণা করেছেন। এ দিনটিই হতো কার্কের ৩২তম জন্মদিন।

ট্রাম্প বলেন, ‘চার্লি আমাদের তরুণদের জন্য অনুপ্রেরণা ছিল। তার স্বপ্ন, সাহস এবং দেশপ্রেম আমেরিকার ইতিহাসে চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে।’

শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ধরনের আরও সংবাদ