আগামীতে বিএনপি ক্ষমতায় আসলে আমাদের নেতা তারেক রহমানের নের্তৃত্বে টেকনাফ সীমান্তের সকল বৈধ ব্যবসার পথ খুলে তরুণদের কর্মসংস্থানের দ্বার উম্মোচন করা হবে। তরুণ-ত্যাগীদের সাথে নিয়ে জনবান্ধব নতুন নের্তৃত্বে কক্সবাজার-৪ (উখিয়া-টেকনাফ) আসনে ঐক্যবদ্ধ হয়ে খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের নির্দেশে নের্তৃত্বে তরুণ, ত্যাগী ও জনবান্ধব নের্তৃত্বের মাধ্যমে উখিয়া-টেকনাফের মানুষকে ঐক্যবদ্ধ করে ধানের শীষের বিজয় নিশ্চিত করব ইনশাহআল্লাহ। তারেক রহমানের হাতকে আরও শক্তিশালী করতে কাজ করে যাব।
আজ ২৮ অক্টোবর ২০২৫ ইংরেজী মঙ্গলবার বিকেলে টেকনাফ পৌরসভাস্থ বাসস্ট্যান্ডে যুবদলের ৪৭ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় কক্সবাজার জেলা বিএনপির অর্থ সম্পাদক ও বিএনপির সংসদ সদস্য মনোনয়ন প্রত্যাশী মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ উপরোক্ত কথাগুলো বলেন। তার আগে যুবনেতা নুরুস সামাদ লালু ও শাহ আলমের নের্তৃত্বে পৌরসভার পুরান পল্লান পাড়া ছাড়াও পুরো পৌরসভা ও ইউনিয়ন থেকে স্ব-স্ব এলাকার দায়িত্বশীলদের নের্তৃত্বে হাজার হাজার নেতাকর্মী শ্লোগানে শ্লোগানে রাজপথ মুখরিত করে মিটিং স্থলে যোগদান করে। তখন শ্লোগানে বলতে শোনা যায়, আব্দুল্লাহ ভাই ভয় নাই, রাজপথ ছাড়িনাই, আব্দুল্লাহ ভাই এগিয়ে চল, আমরা আছি তুমার সাথে। স্লোগানে অনেকে বলে আমাদের আব্দুল্লাহ ভাই মনোনয়ন দৌড়ে এগিয়ে, আমাদের আব্দুল্লাহ ভাই জনপ্রিয়তায় এগিয়ে। এ সময় অনেকে ব্যানার-ফ্যাষ্টুন নিয়ে খুনি হাসিনার বিচারের দাবি জানিয়ে শ্লোগানও দেয়।
প্রধান অতিথি মোহাম্মদ আবদুল্লাহ বলেন, ‘তারেক রহমানের ডাকে বৈষম্যহীন নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণে আমরা সীমান্তের মানুষ জেগে উঠেছি। তবে বিভিন্ন অজুহাতে একটি বিশেষ গোষ্ঠী বারবার ষড়যন্ত্র করার চেষ্টা করছে, সেটি সাধারন জনগন কখনো হতে দেবেনা। দেশের মানুষ তরুণ নের্তৃত্ব চাই। যুব সমাজ-তরুণ ত্যাগীদের নিয়ে আগামীতে ধানের শীষের বিজয় নিশ্চিতের লক্ষ্যে মানুষের ভালোবাসা নিয়ে তারেক রহমানের ৩১ দফা বাস্তবায়নে জনগনের ধারে ধারে ঘুরছি। অবশ্যই দেশে শান্তি ও উন্নয়ন ফিরিয়ে আনব ইনশাআল্লাহ। পাশাপাশি বিএনপি ক্ষমতায় আসলে টেকনাফ সীমান্ত বাণিজ্যে দীর্ঘদিন বন্ধ থাকা স্থলবন্দর সহ সকল বৈধ ব্যবসার পথ খুলে দেওয়া হবে। তখন সেখানে সীমান্তের লাখো বেকার তরুণ কর্মসংস্থানের সুযোগ পাবে। তিনি আরও বলেন, জনবান্ধব হয়ে মানুষের অধিকার আদায়ে প্রতিনিয়ত কাজ করছি আমরা।
সমাবেশে জেলা বিএনপির সদস্য সোলতান আহমেদ বিএ বলেন, ‘সীমান্তে দীর্ঘদিন ধরে একটি পরিবার বিবাদ সৃষ্টি করছে। মানুষ তাদের আর গ্রহন করবেনা। এবার সীমান্তের মানুষ নতুন নের্তৃত্বকে বেছে নিবে। সীমান্তে (এখানে) দল যাকে মনোনয়ন দেবে তার পক্ষে সবাইকে একযোগে কাজ করারও আহবান জানান তিনি।
আরও বক্তব্য রাখেন, পৌরসভার সাবেক মেয়র হাসান আহমদ, উপজেলা কৃষকদলের সভাপতি নূর নবী, যুব নেতা ও সদর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান জিয়াউর রহমান জিহাদ, উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক মো. সেলিম, যুব নেতা গিয়াস উদ্দিন বুলু, পৌর শ্রমিকদলের সভাপতি আঃ রশিদ, উপজেলা শ্রমিক দলের সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহিম মুন্না, পৌর যুবনেতা মোহাম্মদ আমিন সহ বিএনপি ও এর অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীগণ। সভা শেষে এক বিশাল মিছিল প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে আয়োজিত সভা সম্পন্ন হয়।