আইসিসির বিরুদ্ধে বিস্ফোরক এক অভিযোগ তুলেছেন ক্রিস ব্রড। ইংল্যান্ডের অভিজ্ঞ এই ম্যাচ রেফারির দাবি, দায়িত্ব পালনকালে ভারত দলের প্রতি আইসিসি প্রকাশ্য নমনীয়তা দেখিয়েছে। ফোন করে শাস্তি দিতে তাকে নিষেধ করা হয়েছে। একই সঙ্গে ক্রিকেটারদের আচরণও নাকি সম্মানজনক ছিল না।
দ্য টেলিগ্রাফকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে সেই সময়ের ঘটনা সামনে এনে ব্রড বলছেন, তাকে ফোন করে বলা হয়েছিল ভারতকে শাস্তি দিয়েন না। ২০২৪ সালে আইসিসি চুক্তি নবায়ন না করায় ২১ বছরের রেফারিং অধ্যায় শেষ হয় ব্রডের। ২০০৩ সালে দায়িত্ব শুরুর পর থেকে ৬০০‘র বেশি আন্তর্জাতিক ম্যাচ পরিচালনা করেন তিনি। এমন কঠিন পরিবেশে কাজ করাকে এখন সাফল্যের দেখছেন এই রেফারি।
ব্রড বলেছেন, ‘কাজ চালিয়ে যেতে চেয়েছিলাম, কিন্তু দুই দশক ধরে রাজনৈতিক ও বাস্তব নানা চাপের মধ্যে ছিলাম। এখন ভাবি, এত বছর টিকে থাকাটাই বেশ বড় অর্জন। এমন পরিবেশে ২০ বছর টিকে থাকা সহজ নয়।’
সাক্ষাৎকারে ব্রড দাবি করছেন, ‘একটা ম্যাচে ভারত তিন-চার ওভার পিছিয়ে ছিল। স্লো ওভাররেটের জন্য শাস্তি পেতে হত। ঠিক তখনই একটা ফোন এল। বলা হল একটু ক্ষমার চোখে দেখতে। শাস্তি দিতে নিষেধ করা হল। কারণ, দলটার নাম ভারত। তাই বাধ্য হয়ে আমাকেও বিষয়টা অন্য ভাবে দেখতে হল।’
পরের ম্যাচেও একই ঘটনা ঘটে বলে দাবি ব্রডের, ‘সে (সৌরভ গাঙ্গুলি) তাড়াতাড়ি করার কোনো কথাই শুনল না। তাই আমি ফোন করে বললাম, ‘এখন আমি কী করব?’ তখন আমাকে বলা হলো, ‘ওকে সরিয়ে দাও।’ সুতরাং শুরু থেকেই রাজনীতি জড়িত ছিল। এখনকার ছেলেরা হয়তো রাজনৈতিকভাবে আরও বুদ্ধিমান, অথবা কেবল ঝামেলা এড়িয়ে চলে—আমি ঠিক জানি না।’
ব্রড আরও জানিয়েছেন, দীর্ঘ ২১ বছরের ক্যারিয়ারে মাঝেমধ্যেই রাজনীতি সামলাতে হয়েছে তাকে। তারপরেও তিনি নিজের কাজ করেছেন। ব্রড চেয়েছিলেন, আগামী দিনেও ম্যাচ রেফারির দায়িত্ব সামলাতে। কিন্তু গত বছর আর তার চুক্তি বাড়ায়নি আইসিসি।