সোমবার, ০৩ নভেম্বর ২০২৫, ১২:১৪ অপরাহ্ন

‘ইরান-তুরস্ককেও খণ্ডবিখণ্ড করতে চায় ইসরাইল’

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
  • প্রকাশের সময়ঃ রবিবার, ২ নভেম্বর, ২০২৫
  • ৪ প্রদর্শন করেছেন

লেভেন্ত গুলতেকিন নামে এক তুর্কি রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞ বলেছেন, ‘দখলদার ইসরাইল এই অঞ্চলে শক্তিশালী কোনো মুসলিম রাষ্ট্র চায় না। ইরাক ও সিরিয়ার মতো ইরান ও তুরস্ককেও ভেঙে ফেলার চেষ্টা করছে তারা’।

ইরানি বার্তাসংস্থা ইরনা জানিয়েছে, লেভেন্ত গুলতেকিন তার ইউটিউব পেজে শেয়ার করা একটি ভিডিওতে এসব কথা বলেছেন।

ইরান ইস্যু পশ্চিম এশিয়া অঞ্চলের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলোর মধ্যে একটি, যার মধ্যে তুরস্কও রয়েছে বলেও যোগ করেন তিনি।

ভিডিওতে গুলতেকিন বলেন, ইসরাইল ও তার মিত্ররা তাদের নতুন পরিকল্পনায় প্রথমে ইরাক এবং তারপরে সিরিয়াকে ভেঙে দিয়েছে।এমনকি তারা বছরের পর বছর ধরে দাবি করে আসছে যে, ইরান ও তুরস্কের ব্যাপারে তাদের পরিকল্পনা রয়েছে।

ইরান ও তুরস্ক এখন এই বাস্তবতার মুখোমুখি— উল্লেখ করে তুর্কি রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞ আরও বলেছেন, মনে হচ্ছে এ কারণেই সম্প্রতি সবাই গাজা শান্তি চু্ক্তিতে সম্মত হয়েছে। কিন্তু তারপরও ইসরাইল তাদের মূল পরিকল্পনা অর্থাৎ এ অঞ্চলের শক্তিশালী মুসলিম রাষ্ট্রগুলোকে খণ্ডবিখণ্ড করার অপচেষ্টা থেকে সরে আসেনি।

লেভেন্ত গুলতেকিন স্পষ্ট করে বলেছেন, ইসরাইল মনে করে, গাজা সমস্যা যেভাবেই হোক সমাধান হয়ে যাবে। কিন্তু ইরাক ও সিরিয়ার পরে এখন এই অঞ্চলের অন্যান্য দেশগুলো তাদের টার্গেটে রয়েছে।

এই তুর্কি বিশেষজ্ঞ দাবি করেছেন, ইরানের প্রতি আমেরিকা ও ইসরাইলের মধ্যে শত্রুতা আবার বেড়েছে। তিনি বলেন, এমন পরিস্থিতিতে তুরস্কের প্রেসিডেন্টের উদ্দেশ্যে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের প্রশংসাসূচক বক্তব্য খুবই চিন্তার বিষয়।

বর্তমানে এরদোগানের সঙ্গে আমেরিকার বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে উল্লেখ করে গুলতেকিন বলেন, ট্রাম্প যে প্রতিটি বক্তৃতায় এরদোগানের প্রশংসা করেন, সেখানে তিনি তুর্কি সেনাবাহিনীর শক্তি বাড়ানোর ওপরও জোর দেন।

গুলতেকিনের মতে, প্রতিটি বক্তৃতায় ট্রাম্প স্বীকার করেন যে, তুরস্কের একটি অত্যন্ত শক্তিশালী সেনাবাহিনী রয়েছে এবং তারা সিরিয়ার সমস্যা সমাধানসহ অবিশ্বাস্য বিজয় অর্জন করেছে।

তবে এহেন পরিস্থিতিতে ইসরাইলিরা ‘নতুন মধ্যপ্রাচ্য’ নামক মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়ন থেকে সরে আসেনি।বরং গাজার পরই ইরান ও তুরস্ক এখন ইসরাইলের পরিকল্পনায় রয়েছে বলে জোর দেন এই রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞ।

গুলতেকিন জোর দিয়ে বলেন, ইরানে ইসরাইলের মূল লক্ষ্য সেটা মোটেও শাসনব্যবস্থা পরিবর্তন করা নয়, বরং ইরানকে কমপক্ষে তিন বা চারটি ভিন্ন ভাগে বিভক্ত করা।

যদিও গুলতেকিন এর আগে একবার বলেছিলেন যে, ইরানি জাতি এই অঞ্চলে দেশপ্রেমের এক অনন্য মডেল এবং এই অঞ্চলের জনগণের ইরানিদের কাছ থেকে তাদের মাতৃভূমির প্রতি ভালোবাসার শিক্ষা নেওয়া উচিত।

শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ধরনের আরও সংবাদ