বন্ধু বিদায়ের খবর পেয়েই ছেলে অভিষেককে নিয়ে তড়িঘড়ি পৌঁছে গিয়েছিলেন ধর্মেন্দ্রের কাছে বলিউড শাহেনশাহ অমিতাভ বচ্চন। বন্ধু ‘বীরু’ অন্তিমশয্যায়। শোকস্তব্ধ ‘শাহেনশাহ’ চুপ করে তাকিয়ে দেখছিলেন তাকে। গানে গানে বার্তা দিয়েছিলেন, তাদের বন্ধুত্ব অমর।
ধর্মেন্দ্রের প্রয়াণ অমিতাভের মনে এক বিরাট শূন্যতার জন্ম দিয়েছে। গ্রাস করেছে তাকে। তিনি আরও লিখেছেন, এই শূন্যতা পূরণ হওয়ার নয়। আরেক স্তম্ভ চিরবিদায় নিলেন, জীবনের রঙ্গমঞ্চ ছেড়ে। অজস্র কোলাহলের মাঝে এক গভীর নিস্তব্ধতা তৈরি করে গেলেন। ঠিক যেভাবে ‘জয়’ আর ‘বীরু’র বন্ধুত্ব ফুরাবার নয়— ‘ইয়ে দোস্তি হম নহি তোড়েঙ্গে’…।
কখনো পুরস্কারমঞ্চে, কখনো বিনোদনমূলক অনুষ্ঠানে— রমেশ সিপ্পির ‘শোলে’ সিনেমার দুই বন্ধু মুখোমুখি হলেই গাঢ় আলিঙ্গনে একে অপরকে বেঁধেছেন। এ বছর সেই সিনেমার ৫০ বছরপূর্তি। এ জুটি ভেঙে চিরদিনের মতো হারিয়ে গেলেন এক ‘দোস্ত’।
ধর্মেন্দ্রের অন্তিমযাত্রায় অমিতাভ বচ্চন। রাতের গভীরতায় তিনি উপলব্ধি করেছেন, ধর্মেন্দ্র শুধুই দীর্ঘদেহী পাঞ্জাবি নন, তার মনটাও ছিল আকাশের মতো উদার। পাঞ্জাবের এক টুকরো মায়াঘেরা সবুজ, সারল্য আর উষ্ণতা বুকে নিয়ে ঘুরতেন। তাই রুপালি পর্দার পরাক্রমী নায়কের হাসি শিশুর মতোই সরল। বলিউড আর সেই মাটির গন্ধ পাবে না।